Finance
Getting jobs in employees in Malaysia becoming easy
মন্ত্রী বলেন, বিদেশি কর্মীরা যাতে স্বল্প খরচে নিশ্চিন্তে কাজে যোগদান করতে পারে এবং মধ্যস্তভোগীদের দ্বারা প্রতারণার শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ রেখে নতুন আইন প্রনয়ন করা হচ্ছে।
শাহরিয়ার আলম দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া কো-অপারেশনের (সায়াকো) মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সমর্থন অর্জনের জন্য কুয়ালালামপুরে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উভয় দেশেই নতুন সরকার, তাই সম্পর্কের নব উন্মেষ হবে এ প্রত্যাশা করেন। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে শাহরিয়ার আলম বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং হচ্ছে। এজন্য মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে সোর্স কান্ট্রি উল্লেখ করে শ্রম নিয়োগ শুরু করেছে। যারা বৈধতা-সংক্রান্ত সমস্যায় আছে তাদের বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য অনুরোধ করেন। তিনি আশা করেন মালয়েশিয়া সরকার দ্রুত নবনিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করবে।
এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দীন আব্দুল্লাহ আশা প্রকাশ করেন, ‘নিয়ম-কানুন ও পলিসি সংশোধন করে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার পুনরাবৃত্তি হোক তা মালয়েশিয়া সরকার চায় না।’
বৈঠকে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের নির্যাতিতরা বিপুল পরিমাণে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং বাংলাদেশ এসব অসহায় লোকদের পাশে থেকে যে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তাতে সাধুবাদ জানিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার আশু সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেন।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নতি করছে। আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ।’
রোহিঙ্গা বিষয়ক আলোচনায় মালয়েশিয়া আসিয়ান দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান হওয়ায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে মালয়েশিয়া সরকার গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
২৩ এপ্রিল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জালান সুলতান ইয়াহিয়া পেত্রাস্থ চেন্সারি ভবন এবং আমপাংস্থ পাসপোর্ট সার্ভিস কেন্দ্র ঘুরে ফিরে দেখেন এবং সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রবাসীদের সুন্দর সেবা নিশ্চিত করতে হবে। অপপ্রচার বা অন্য কোনোভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।