Finance
Hall mark makes major business announcement
এ সুবিধার আওতায় নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে সরকারের সহায়তা চেয়েছে হল-মার্ক গ্রুপ! অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আর্থিক খাতের অন্যতম এবং বহুল আলোচিত কেলেঙ্কারির জন্ম দেয়া হল-মার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি দিয়ে এ সহযোগিণা কামনা করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ১১টি মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তারা বর্তমানে কারাবন্দি।
অর্থমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের হোটেল শেরাটন কর্পোরেট শাখায় বিদ্যমান দায়-দেনা পরিশোধের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার আওতায় ২ শতাংশ হারে ডাউন পেমেন্ট নিয়ে ঋণ পুনঃতফসিল, পাশাপাশি পুনঃতফসিলের কিস্তি পরিশোধের নিমিত্তে ব্যাংকিং সুবিধা তথা নতুন করে ঋণ পাওয়ার সুবিধাসহ সীমিত আকারে কারখানা চালুর লক্ষ্যে সাময়িকভাবে শর্তযুক্ত জামিনে মুক্ত হওয়ার সহযোগিতা কামনা করছি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম এবং হল-মার্ক গ্রুপভুক্ত একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে জমাকৃত প্রায় ১০০ কোটি টাকা বর্তমানে মহামান্য আদালতের আদেশক্রমে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। তা অবমুক্ত করে ওই টাকা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ নীতিমালার শর্তানুসারে ঋণস্থিতি অর্থাৎ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক শুধু ফান্ডেড ঋণের জন্য দায়েরকৃত মামলায় দাবিকৃত দুই হাজার ৬৭৫ কোটি ৭১ লাখ টাকার ২ শতাংশ বাবদ ৫৪ কোটি টাকা ডাউন পেমেন্ট হিসাবে জমা করার সুযোগ প্রদান করবেন।’
অথচ সাত বছর পার হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংককে এক টাকাও ফেরত দেয়নি হল-মার্ক গ্রুপ। এ গ্রুপের সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতিসহ অন্যান্য ছোট-বড় জালিয়াতির কারণে ধুঁকছে সরকারি সবচেয়ে বড় এ ব্যাংক। জানা গেছে, প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধের শর্তে সোনালী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ২০১৩ সালের আগস্টে জামিন পান হল-মার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম। সে হিসেবে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত তিনি সময় পেয়েছেন ৭২ মাস। ১০০ কোটি টাকা প্রতি মাসে পরিশোধ করলে হিসাব অনুযায়ী আদায় হতো সাত হাজার ২০০ কোটি টাকা।