Finance
Leather business facing trouble: Minister cites three reasons
এক প্রকার পানির দামে বিক্রি হচ্ছে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার চামড়া। ফরিয়ারা বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে কম দামে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করলেও পাইকার ও আড়তদারদের কাছে সেই দামেও বিক্রি করতে পারছেন না। এ ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ রোববার সাংবাদিকদের বলেন, এবার তিন কারণে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার দরপতন হয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।
গত বুধবার দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়েছে। এবার কোরবানি করা পশুর কাঁচা চামড়ার ন্যায্যমূল্য পায়নি কোরবানিদাতারা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। তিন কারণে চামড়া বিক্রি হচ্ছে না জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এক নম্বর গতবারের চামড়া রয়ে গেছে, দুই যারা ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের মালিক তারা বলছে ব্যাংকের ঋণ সঠিক সময়ে পাইনি, তিন সাভার যে শিল্পগুলো হওয়ার কথা সে শিল্গগুলো গড়ে উঠেনি। এসব কারণে চামড়া কেনা বেচা নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে। তবে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা আশ্বাস দিয়েছেন এটা থাকবে না ঠিক হয়ে যাবে। তারা দাম কমানোর সিদ্ধান্তকে সঠিক বলেও উল্লেখ করেন।
গত ৯ আগস্ট কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের জন্য গত বছরের চেয়ে কম দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম পাঁচ টাকা কমিয়ে ধরা হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা, ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা। গত বছর এ দাম ছিল ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫০-৫৫ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০-৪৫ টাকা। অপরদিকে প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম সারাদেশে ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল ২০-২২ টাকা। আর বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩-১৫ টাকা। যা গত বছর ছিল ১৫-১৭ টাকা।
কাঁচা চামড়া রফতানির কোন সুযোগ দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে কি না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা চালু করলে আমাদের চামড়া শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। এ রকম কোন পরিকল্পনা সরকারের নেই।’