Finance

রবি-এয়ারটেল একীভূতকরণে পাশে থাকার জন্য স্টেকহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানাল রবি

রবি-এয়ারটেল একীভূতকরণে পাশে থাকার জন্য স্টেকহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানাল রবি

| | 12 Dec 2016, 07:47 am
ঢাকা, ডিসেম্বর ১২ঃ রবি-এয়ারটেল একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সফল করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করায় গত শনিবার, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬ রাজধানীর এক হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানিয়েছে সদ্য একীভূত কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের (পিটিডি) প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, এমপি। অন্যদিকে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি।

 

এছাড়া পিটিডি’র অতিরিক্ত সচিব শওকত মোস্তফা, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান, অবঃ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র নির্বাহী সদস্য নভাস চন্দ্র ম-ল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. রেজাউল হাসানসহ পিটিডি ও বিটিআরসি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া খ্যাতিমান গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও প্রখ্যাত সাংবাদিকবৃন্দ, দেশের ব্যবসায়িক সমাজের শীর্ষস্থানীয় এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন।

 

আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানিয়ে রবি’র চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড পিপল অফিসার বলেন, “দেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পের প্রথম একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থনকে অভিবাদন জানাতেই আজকের এই আয়োজন। একীভূতকরণের প্রক্রিয়াজুড়ে আপনাদের উৎসাহ ও নির্দেশনার জন্য রবি সত্যিই আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং কৃতজ্ঞ গণমাধ্যমের প্রতি যারা এই পুরো প্রক্রিয়ায় একটি গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেছে।”

 

“একীভূতকরণের শুরুতেই আমরা এই ব্যাপারটি উপলব্ধি করেছি যে, আমাদের নজরটা সবচেয়ে বেশি থাকা উচিত কর্মীদের প্রতি। এয়ারটেল কর্মীদের অফার লেটার প্রদানের মাধ্যমে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরুর পর রবি’র ম্যানেজমেন্ট টিম মেম্বাররা তাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে একীভূত কোম্পানিতে কাজের ক্ষেত্রে তাদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তারা রবি’তে যোগ দেয়ার পরপরই আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ তাদের প্রত্যেককে রবি’র ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেছেন। আমরা মানবসম্পদের ওপর গুরুত্ব প্রদান করি যাতে ব্যবসায়িক অগ্রগতির জন্য প্রত্যেকে তার সর্বোচ্চটা প্রদান করতে পারেন। এয়ারটেল’র কর্মীরা যোগ দেয়ার পর আমাদের আত্মবিশ্বাস আরো দৃঢ় হয়েছে যে, এখন দেশের সেরা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার মত প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ আমাদের রয়েছে।”

 

রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “একীভূতকরণ প্রক্রিয়াটি সফল করার জন্য আমরা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, এমপি এবং তার কার্যালয়ের সব কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। এছাড়া স্বচ্ছ ও পেশাদারি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একীভূতকরণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে অকুণ্ঠ সমর্থন প্রদান করার জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদসহ তার কার্যালয়ের সব কর্মীদের। এছাড়া একীভূতকরণের সাহায়ক আবহ তৈরি করার জন্য গণমাধ্যমের বন্ধুদেরও ধন্যবাদ জানাই।”

 

“রবি সবসমই বলে আসছে গ্রাহকদের স্বার্থেই এই একীভূতকরণ। কারণ টেকসই ব্যবসায়িক পরিবেশের নিশ্চয়তা পেলেই একটি অপারেটর উদ্ভাবনী পণ্য ও সেবা বৃদ্ধির জন্য আরো বিনিয়োগ করবে, এতে লাভবান হবেন গ্রাহকরাই। আর তা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। একীভূত কোম্পানির একটি অদম্য শক্তি প্রয়োজন, যা ইতোমধ্যে আমাদের কোম্পানিতে রয়েছে। একীভূত কোম্পানির মাধ্যমে নেক্সট জেনারেশন ডিজিটাল কোম্পানি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পাশাপাশি দেশের সেরা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি আমরা। আমাদের শুধু প্রয়োজন আপনাদের অব্যাহত সহযোগিতা ও প্রেরণা।”

 

দেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পের প্রথম একীভূতিকরণ প্রক্রিয়ায় পেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়ার জন্য টেলিকম প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এমপি পিটিডি ও বিটিআরসি’র কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। একীভূতকরণের পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে সহযোগিতার জন্য রবি ও এয়ারটেল কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের নিরপেক্ষ ও গঠনমূলক প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে সচেতন হওয়ার সুযোগ পেয়েছি।”

 

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলায় এই একীভূতিকরণ একটি মাইলফলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পের অবদানকে স্বীকৃতি জানাই। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অপারেটরদের সেবার মান নিশ্চিত করতে নেটওয়ার্কে বিপুল বিনিয়োগ এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে উদ্ধাবনী সেবা প্রদান করতে হবে। আমরা নিশ্চিত, এই একীভূতিকরণের ফলে একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি হবে যাতে গ্রাহকরা লাভবান হবেন। আমার বিশ্বাস, একীভূত কোম্পানি হিসেবে রবি দেশের টেলিযোগাযোগ বাজারকে আরো সমৃদ্ধ করতে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করবে।”

 

ই-কমার্স খাতের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, ই-কমার্স খাতটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত, কারণ সকল ক্ষেত্রেই আমাদের সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।”