Finance

Record Rice production in Sunamganj

Record Rice production in Sunamganj

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 22 Apr 2019, 07:34 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, এপ্রিল ২২ : মাঠজুড়ে সোনালি ধান। বোরো ধানের গন্ধে ভরে উঠছে সুনামগঞ্জ জেলার হাওর, নদী ও বিল। কৃষকরা কেউ ধান কাটছেন, কেউ আঁটি বাঁধছেন। আবার কেউ ধান নিয়ে যাচ্ছেন বাড়ির উঠানে। বলা যায় খুশির জোয়ার বইছে পুরো হাওর এলাকাজুড়ে। শ্রমিক সংকট থাকলেও কৃষকের সোনালি ফসলের ধান ও হাসি যেন তা ভুলিয়ে দেয়। হাওরের মাঠে মাঠে বৈশাখের বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে বইছে ধান কাটার আনন্দ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে জানা যায়, এ বছর সুনামগঞ্জে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমি।

 

কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে এবার বোরোর আবাদ হয়েছে। এ বছর ২ লাখ ২৪ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হওয়ায় কৃষি বিভাগ মনে করছে, এ বছর ধান উৎপাদন ৮ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন থেকে ৯ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন হবে। হাওরের ফসল ভালো হলেও ধান কাটার শ্রমিক সংকট নিরসনের জন্য বালু পাথর কোয়ারির শ্রমিকদের ধান কাটার কাজে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।


রোববার সকালে সুনামগঞ্জের খরচার হাওর ও শনির হাওরে ধান কাটার মাধ্যমে ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার বরকতুল্লাহ খান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বশির আহম্মদ সরকার।

শনি হাওরের কৃষক মানিক মিয়া বলেন, আল্লাহর রহমতে খুব ভালো ধান হইছে।  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহায়তায় আমরা সোনার ফসল ফলাইতে পারছি। বৃষ্টি আওয়ার আগে সব ধান কাটতে পারলে খুব ভালো হইবো।


খরচার হাওরের কৃষক কমল দাশ বলেন, ধান অনেক ভালো হইছে। মাঠো এত সুন্দর ধান দেখিয়া মন খুশিতে ভরি গেছে। এখন আমরা সবাই আনন্দ ও গান গাইয়া ধান কাটরাম। যদি বৃষ্টি না আয় তাইলে ধান সব কাটি লাইত পারমু। আমরা বড় সমস্যা শ্রমিক সংকট। অন্যান্য শ্রমিকরা যদি ধান কাটার লায় আইতো তাইলে আমরা বৃষ্টির আগে ধান কাটি লাইতাম।