Finance
Yunus issue no more bothers Muhit after Trump
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের লভ্যাংশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার আগে আমেরিকায় গেলেই তাকে ইউনূস প্রসঙ্গে মুখোমুখি হতে হত। ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে সাম পিপল সিট ডাউন উইথ মি ফর ইন্টারভিউ, তাদের সঙ্গে লোকজন থাকেন। প্রত্যেক বারই তারা বাংলাদেশের প্রশংসা করেন এবং তারপর বলেন- ‘আপনাদের সঙ্গে একটি সামান্য ইস্যু আছে, তো সেই ইস্যুর একটি ডিসিশন চাই’। এভরি ইয়ার আই রিপিট, এটা কোনো ইস্যুই না।’
মুহিত বলেন, তাকে প্রতিবারই এটা বোঝানোর চেষ্টা করতে হয়েছে যে, গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে এখন আর মুহম্মদ ইউনূসের কোনো সম্পর্ক নেই। ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকে যখন ছিলেন, তখন গ্রামীণ নাম দিয়ে ৩০ থেকে ৪০টি প্রতিষ্ঠান করেছিলেন; সেসব তারই প্রতিষ্ঠান, গ্রামীণ ব্যাংকের নয়। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প গতবছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেিিসডেন্ট হওয়ার পর সেখানে গিয়ে আর ওই রকম প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়নি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ট্রাম্প সাহেব প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দিস কোশ্চেন নট রেইজড ইউথ মি, অ্যান্ড রিলিফ অ্যাট দিস বার্ডেন যে প্রত্যেক বছর একটা প্রশ্ন ওঠে আর রিপ্লাই দিতে হয়. এটা এখন আর আমাকে দিতে হয় না।’
ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টাকে 'শান্তি স্থাপন' বিবেচনা করে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক এবং এর তখনকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ইউনূসকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদ থেকে ইউনূসকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েও হেরে যান তিনি। এরপর থেকে সরকারের সঙ্গে ইউনূসের টানাপড়েনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বহুবার শিরোনাম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, সরকার, এমনকি তার পরিবারের সদস্যদের ওপরও চাপ এসেছিল ইউনূসকে সরিয়ে দেওয়ার কারণে। ইউনূসের জন্যই ‘সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের লবিংয়ে’ বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল বলেও প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন একাধিকবার।
সচিবালয়ে লভ্যাংশ হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবুল সাহা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার এখন ২৫ শতাংশ। লভ্যাংশের ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার চেক অর্থমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।