Finance
7 crore people now using mobile banking in Bangladesh
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন পছন্দের মাধ্যম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মোবাইলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে বা অতিদ্রুত শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। দিন দিন গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছে। দেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষ যুক্ত হচ্ছে। ফলে মোবাইল ব্যাংকিং দেশের ব্যাংকিং সেবায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনএনেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ১৮টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠানে ডিসেম্বর শেষে মোট নিবন্ধিত এমএফএস হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে সক্রিয় হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৪৭৩।
সর্বশেষ ডিসেম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মোট লেনদেন হয়েছে ৩২ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। এ সময় মোট লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৮৭ হাজার ১৫০টি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বরে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৫ কোটি টাকা। আলোচিত মাসজুড়ে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে টাকা জমা পড়েছে ১২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। উত্তোলন করা হয়েছে ১২ হাজার ২১৩ কোটি টাকা। ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেুন-ভাতা বিুরণ হয়েছে ৬১৩ কোটি টাকা। বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ২৪০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কেনাকাটার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ২৮৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সরকারি পরিশোধ ৬৫৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এছাড়া অন্যান্য হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৫১৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে।