Finance
Bangladesh bank to stop gold auction for 10 years
নিয়ম অনুসারে, মামলা নিষ্পত্তির পর রক্ষিত স্বর্ণ নিলামে তোলার কথা।
কিন্তু ২০০৮ সালের ২৩ জুলাইয়ের পর নিলামে আর স্বর্ণ বিক্রি করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।
ফলে একদিকে যেমন এসব স্বর্ণ অব্যবহৃত রয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে রাষ্ট্র রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। কেননা এই পরিমাণ স্বর্ণ নিলামে তুললে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে হাজার কোটি টাকা জমা হতো। এ ছাড়া নিরাপত্তা নিয়েও করতে হতো না বাড়তি চিন্তা।
সম্প্রতি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের এক প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে সঠিকভাবে স্বর্ণ সংরক্ষণ করা হচ্ছে না বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে উঠে আসে, বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছিল ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের চাকতি ও আংটি, তা হয়ে গেছে মিশ্র বা সংকর ধাতু। ছিল ২২ ক্যারেট স্বর্ণ হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট।
দৈবচয়ন ভিত্তিতে নির্বাচন করা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ পরীক্ষা করে বেশিরভাগের ক্ষেত্রে এ অনিয়ম ধরা পড়েছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। তবে ওই প্রতিবেদন সঠিক নয় বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ম অনুসারে নিলাম করে আসছিল। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে সিন্ডিকেট করে বাজারদরের চেয়ে অনেক কম মূল্যে স্বর্ণ কিনে নিতো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যেখানে কিছুই করার থাকতো না। ফলে বাধ্য হয়েই নিলাম বন্ধ করে দেয়া হয়।
স্বর্ণের নিলামে সিন্ডিকেটের বিষয়টি নিয়ে কথা বললে বাজুস সভাপতি গঙ্গাচরণ মালাকার তা অস্বীকার করেন।
তার দাবি, এমন কোনো বিষয়ই নেই।
বাজারদর অনুসারেই নিলামে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বর্ণ কিনে নেন ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরও বলেন, দেশের বাজারে স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে। বাংলাশে ব্যাংক এখনো নিলামের আয়োজন করলে যথেষ্ট সাড়া পাবে।