Finance

Bangladesh clothing industry aims more development

Bangladesh clothing industry aims more development

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 09 Oct 2018, 07:49 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, অক্টোবর ৯ : রফতানিতে সুখবর নিয়ে শুরু হয়েছিল এই অর্থবছর।

দ্বিতীয় মাসে এসেই ধাক্কা খেলেও সেপ্টেম্বরে রফতানি আয়ে বড় উল্লম্ফন হয়েছে। চলতি (২০১৮-১৯) অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আয় হয়েছে ৯৯৪ কোটি ৯ লাখ ডলার। এই অর্থ প্রথম প্রান্তিকে মোট লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৬১ কোটি ৬ লাখ ডলার বা ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি। একক মাস হিসেবে সেপ্টেম্বরে প্রবৃদ্ধিহয়েছে ৫৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বরাবরের মতো এবারও রফতানিতে বড় অবদান তৈরি পোশাক শিল্পের।

 

সোমবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অথর্বছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন পণ্য থেকে ৯৯৪ কোটি ৯ লাখ ডলার আয় হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৮৬৬ কোটি ৬২ লাখ ডলার। অর্থাৎ চলতি অর্থবছর এ সময়ে ১২৭ কোটি ৭২ লাখ ডলার বেশি অর্থ আয় হয়েছে। এই আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। এবার এই সময়ে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৩৩ কোটি ডলার। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬১ কোটি ডলার বেশি আয় হলো।


রফতানিকারকরা বলছেন, রফতানি আয়ে সুখবর নিয়েই অর্থবছর শুরু হয়েছিল। কিন্তু আগস্টে কোরবানি ঈদের কারণে কয়েক দিন পোশাক কারখানা বন্ধ থাকায় উৎপাদন থেকে শুরু করে রফতানি কাযর্ক্রম ব্যাহত হয়। সে কারণেই রফতানি কমেছিল। কিন্তু পরবর্তী মাসে এ ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি। ফলে রফতানিতে গতি এসেছে। পরের মাসগুলোতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন তারা। একক মাস হিসেবে সেপ্টেম্বরে আয় হয়েছে ৩১৪ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। লক্ষ্য ছিল ২৭৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এ হিসাবে এ মাসে আয় বেড়েছে ৩৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। গত বছরের সেপ্টেম্বরে আয় হয়েছিল ২০৩ কোটি ৪১ লাখ ডলার। এ হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।


অন্যান্য পণ্যের মধ্যে জুলাই-সেপ্টেম্বরে সময়ে হিমায়িত মাছ রফতানি কমেছে ১৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি কমেছে ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ কম। চা রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এ ছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি কমেছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ, রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধিকমেছে। একই সঙ্গে অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। এ সময়ে এ খাত থেকে আয় এসেছে ২১ কোটি ডলার। স্পেশালাইজড টেক্সটাইল রফতানি বেড়েছে ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। ওষুধ রফতানি বেড়েছে ২৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।