Finance
Bangladesh government wants to touch new record in boro rice production
কৃষক ধানে ন্যায্যমূল্য বঞ্চিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এবার পরিমাণ বাড়িয়ে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তা অর্জনে জোর দিয়েছে সরকার।
খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি দুই দফা সভা করে চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল, দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং চার লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়, প্রতি কেজি সিদ্ধ চালের ৩৬ ও আতপ চালের ৩৫ টাকা ও ধানের ২৬ টাকা।
গত ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে এ ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। ধান সংগ্রহ কার্যক্রম জোরদার করার জন্য কয়েক দফা তাগিদ দিয়ে খাদ্য অধিদফতর থেকে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সর্বশেষ গত ২১ আগস্ট রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে তাগিদপত্র দিয়েছেন খাদ্য অধিদফতর মহাপরিচালক মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘চলতি অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ-২০১৯ এর মেয়াদ আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারিত রয়েছে। চলতি অর্থবছরে বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ টন নির্ধারিত আছে। গত ১৯ আগস্ট পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সারা দেশে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯১ টন ধান সংগৃহীত হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের ৭০ হাজার ৯৭১ টনের বিপরীতে ৫৩ হাজার ৯৫৮ টন, রংপুরে ৬২ হাজার ৪৯১ টনের বিপরীতে ৪৮ হাজার ৫০৩ টন, ঢাকা বিভাগে ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৪ টনের বিপরীতে ৮৫ হাজার ৩৯০ টন ধান সংগৃহীত হয়েছে।
এ ছাড়া খুলনায় ৫১ হাজার ২৫৮ টনের স্থলে ৪০ হাজার ৫৫১ টন, চট্টগ্রামে ৪৭ হাজার ৪২৪ টনের ক্ষেত্রে ৩৯ হাজার ২৮৯ টন, সিলেটে ৩৬ হাজার ৮০৭ টনের স্থলে ২২ হাজার ৯০২ টন, বরিশালে ১৩ হাজার ৩৮৫ টন লক্ষ্যমাত্রার স্থলে ৯ হাজার ৩৮৯ টন বোরো ধান সংগ্রহ করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ধান সংগ্রহের গতি বাড়াতে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯১ টন ধান সংগৃহীত হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সারা দেশে এখনও এক লাখ ৯ টন ধান সংগ্রহের অপেক্ষায় রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংগ্রহের অবশিষ্ট এক লাখ ৯ টন ধান সংগ্রহের নির্ধারিত মেয়াদ ৩১ আগস্টের মধ্যে সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে।