Finance
Bangladesh is one of the fastest growing economy in the world
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আধুনিক পাবলিক সেক্টর প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নত কর্মক্ষমতা ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ‘ক্রয় ক্ষমতার বিবেচনায় বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৩২তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে এ দেশ বিশ্বের ২৮তম এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ২৩তম বৃহৎ অর্থনীতির রাষ্ট্র হিসেবে স্থান দখল করবে।’
পাবলিক সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নত পারফরমেন্স ব্যবস্থাপনা চালুর মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে উন্নয়নের মিরাকল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এবং জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) যৌথভাবে পাঁচ দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে। শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের পরিচালক এস.এম. আশরাফুজ্জামান এবং এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের শিল্পবিষয়ক প্রোগ্রাম অফিসার জোসে এলভিনিয়া বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প সচিব বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে রূপকল্প-২০২১ এর সফল বাস্তবায়ন সম্ভব। পাবলিক সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের কৌশল গ্রহণ করেছে।
এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এবং মন্ত্রণালয়গুলোর সাথে অধিনস্ত দপ্তর ও সংস্থার চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের পথে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
পাঁচ দিনব্যাপী এ কর্মশালায় চীন, ফিজি, ভারত, ইরান, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং স্বাগতিক বাংলাদেশসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১১টি দেশের ২১ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং বেলজিয়াম, মঙ্গোলিয়া, কোরিয়া ও বাংলাদেশের ৪ জন উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞ অংশ নিচ্ছেন।
এতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পাবলিক সেক্টরের প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান পারফরমেন্স ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানে আধুনিক ও উন্নত পারফরমেন্স ব্যবস্থাপনা চালুর কৌশল নির্ধারণ করা হবে। এর ফলে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং পারফরমেন্স জোরদারের মাধ্যমে আর্থসামাজিক অগ্রগতির লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে বলে আশা করা হচ্ছে।