Finance
Bangladesh to install 16 electric power project
বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার ৭৮৭ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। বেসরকারী খাত ৮ হাজার ৭৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাশ্রয়ী মূল্যের সাথে টেকসই এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ জন্য কাজ করছি।’
নসরুল হামিদ বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরকারের সময়োপযোগী, বাস্তব ও টেকসই পদক্ষেপের ফলে ১৪ হাজার ৯৮৬ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ১২৪টি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী এবং গতিশীল নেতৃত্বের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, সরকার ২০১৩ সাল থেকেই ভারত থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে। ২০২১ এর মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া পর্যন্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়নো লক্ষ্যে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন, সম্প্রসারণ লাইন, বিতরণ লাইন এবং আরও অন্যান্য খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে।
তিনি বলেন, বিশেষত পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় সমূহ ও দরিদ্র জনগণসহ সকল শ্রেণীর জীবন-জীবিকা উন্নত করতে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি মাস্টার-প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে, যাতে ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে ২০২১ সালের মধ্যে সকল নাগরিককে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্তির আওতায় আনতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে যখন দায়িত্ব গ্রহণ করে তখন মাত্র ২৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল, সেখানে ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ক্ষমতা ছিলো।