Finance

Bangladeshi cattle sellers find new challenge
Amirul Momenin

Bangladeshi cattle sellers find new challenge

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 10 Jul 2020, 06:46 am
ঢাকা, জুলাই ১০ : করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার গরু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। কোরবানির ঈদ যতই এগিয়ে আসছে, ততই তাদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে লাভের আশা তো দূরে থাক বাজারে গরু তুলে তা বিক্রি করে আসল তুলতে পারবেন কি-না তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

দেশে মাংসের চাহিদা মেটাতে বড় ভূমিকা রেখে আসছেন কুষ্টিয়া অঞ্চলের খামারি ও কৃষকরা।

গরুর পাশাপাশি বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলের বিখ্যাত ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের কদর অনেক বেশি।

এবার কোরবানির ঈদ টার্গেট করে জেলার ১৮ হাজার খামারি পালন করেছেন এক লাখেরও বেশি গরু।

এছাড়া প্রায় ৬০ হাজার ছাগল পালন করেছেন খামারিরা। করোনার কারণে এবার প্রায় ৫০ ভাগ পশু অবিক্রীত থাকতে পারে বলে জেলার খামারি ও কৃষকরা আশঙ্কা করছেন।


করোনা পরিস্থিতির কারণে লাভ কম হলেও অনেক খামারি স্থানীয় বাজারে আগেই গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। যারা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্য জেলায় গরু বিক্রি করেন তারা অপেক্ষা করছেন পরিস্থিতি বোঝার।


জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র জানায়, গত বছর জেলায় ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ৯০ হাজার গরু পালন হয়েছিল। খামারিরা ভালোই লাভ পেয়েছিলেন।

এবার জেলায় প্রায় এক লাখের কাছাকাছি গরু পালন করছেন খামারিরা। গতবারের তুলনায় এবার গরুর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার বেশি।


কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুরসহ কয়েকটি উপজেলায় বড় গরুর হাট বসে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে হাটগুলো বসছে। বাজারে প্রচুর গরু উঠছে।

তবে গতবারের তুলনায় অনেক কম। বিশেষ করে বড় গরুর চাহিদা এবার নেই বললেই চলে। মাঝারি ও ছোট সাইজের গরু বিক্রি বেশি হচ্ছে।


জানা গেছে, প্রতিবার ঈদের দু-এক মাস আগে থেকেই জেলার হাটে হাটে ঘুরে ব্যাপারীরা গরু কিনে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন হাটে তুলতেন।

 

এবার সেই সংখ্যা অনেক কম। জেলায় বড় পশুর হাট রয়েছে ১২টি। এসব হাট ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরও ছোট ছোট হাট-বাজারে বিক্রির জন্য প্রতিদিন

হাজার হাজার গরু-ছাগল নিয়ে আসছেন খামারিরা। কিন্তু কেনাবেচা একদম কম। ঈদুল আজহার আর মাত্র ২০-২২ দিন বাকি থাকলেও এবার বাইরের ব্যাপারীদের তেমন একটা দেখা মিলছে না।