Finance
Benapole-Petrapole development
সিদ্ধান্তের কথা বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনকে জানায় ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
সে অনুযায়ী বাংলাদেশের সব বন্দর ব্যবহারকারী, কাস্টম ও বন্দর প্রস্তুত ছিল আমদানি পণ্যের জন্য। আমদানি-রফতানি চালু হওয়ার খবর শুনে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের হাজারও শ্রমিক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছিলেন। আড়াই মাসের বেশি সময় আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। আমদানিকারকরাও স্বস্তি ফিরে পাচ্ছিলেন। কিন্তু শনিবারও কার্যক্রম শুরু করা গেল না। এর আগে ১ জুন আমদানি-রফতানি চালু করার কথা জানানো হয়েছিল ভারত থেকে।
সে সময় পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ী নেতারা জানিয়েছিলেন, তারা প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন পণ্য রফতানি করার জন্য। কিন্তু তাদের পৌরসভার চেয়ারম্যান জানান, বারাসাত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) কর্তৃক সরাসরি পণ্য রফতানির একটি পত্র না পাওয়া পর্যন্ত তারা পণ্য রফতানি করতে পারবেন না। আমদানি-রফতানি চালু হলে যদি করোনা বেড়ে যায় তাহলে এই দায় দায়িত্ব আমাদের ঘাড়েই বর্তাবে। সুতরাং ডিএম থেকে সরাসরি রফতানি আদেশ না এলে তিনি এই রফতানি বন্ধ রাখার কথা জানান। ফলে নীতিগতভাবে সব সিদ্ধান্ত থাকলেও বাংলাদেশে পণ্য রফতানি করতে পারেননি তারা।
আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে বেনাপোল-পেট্রাপোল সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর। প্রতি বছর ৩০ হাজার কোটি টাকার পণ্য এই স্থলবন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি হয়। সরাসরি প্রায় ২০ হাজার মানুষ এবং পরোক্ষভাবে সব মিলিয়ে ৫০ হাজার মানুষ নির্ভরশীল এই স্থলবন্দরের ওপর।
আইনি জটিলতা এবং করোনা প্রাদুর্ভাব থাকার পরও পেট্রাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতি সরাসরি পণ্য রফতানির জন্য একটি পত্র ডিএম-এর দপ্তরে দিয়েছেন। সেখানে তারা সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিপালন করেই বাংলাদেশে পণ্য পাঠাবেন বলে উল্লেখ করেছেন। ওইপত্রে তারা ডিএমকে অনুরোধ জানিয়েছেন, সরাসরি বাংলাদেশে পণ্য রফতানির জন্য।