Finance
Black Bengal's life unveiled
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) একদল গবেষক ব্ল্যাক বেঙ্গল’ ছাগলের এ জীবনরহস্য উন্মোচন করেন।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু পালন অনুষদের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ব্ল্যাক বেঙ্গলের’ জীবনরহস্য উন্মোচনের (জিনোম সিকোয়েন্সিং) কথা জানান বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান।
জিনোম হলো- কোনো প্রজাতি বা জীবের মোট নিউক্লিওটাইডের সমষ্টি। সহজ কথায় জিনোম হলো- কোনো জীবের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। জীবের অঙ্গ-সংস্থান, জন্ম, বৃদ্ধি, প্রজনন এবং পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াসহ সব জৈবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় এর জিনোমে সংরক্ষিত নির্দেশনা মতে। পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং হলো- কোনো জীবের জিনোমে সমস্ত নিউক্লিওটাইড সমূহ কীভাবে বিন্যস্ত রয়েছে তা নিরূপণ করা। একটি জীবের জিনোমে সর্বমোট জিনের সংখ্যা, বৈশিষ্ট্য এবং তাদের কাজ পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স থেকেই জানা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্ল্যাকবেঙ্গল ছাগলের জিনোমে প্রায় ২.৯ গিগাবেজ নিউক্লিওটাইড পেয়েছেন গবেষকরা। যার মাইটোকন্ড্রিয়াল জিনোম সাইজ ১৬, ৬৪০টি নিউক্লিউটাইড, যাতে ৩৭টি জিন রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ সিকোয়েন্স এনালাইসিস করে ২৬ লাখ, ৫ হাজার ৩০০টি সিঙ্গেল নিউক্লিউটাইড পলিমরফিজম (এসএনপি) পাওয়া গেছে। বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল জিনোমে জিনের সংখ্যা ও গঠন জানার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
গবেষক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্ল্যা বলেন, বাংলাদেশি ব্ল্যাকবেঙ্গল ছাগলের একটি পূূর্ণাঙ্গ জিনোম রেফারেন্স তৈরি করেছি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের একটি পূর্ণাঙ্গ রেফারেন্স জিনোম তৈরি হলো। এতে ডিএনএ আবিষ্কার ও মার্কারগুলোর মাধ্যমে ছাগলের ওজন বৃদ্ধির হার, দুধ উৎপাদন, বাচ্চা উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ ও মাংসের গঠন সংক্রান্ত জিন আবিষ্কার করা সহজ হবে। ফলে সহজেই ছাগলের মোট জিনের সংখ্যা, গঠন ও কার্যাবলী নিরুপণ করা যাবে।
এর আগে ২০১৬ সালে জাতিসংঘের কৃষিবিষয়ক সংস্থা (এফএও) ও আন্তর্জাতিক আণবিক গবেষণা সংস্থা থেকে বিশ্বের ১০০টি ছাগলের বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটি গবেষণা করে। তাতে বাংলাদেশের স্থানীয় জাতের ছাগল ব্ল্যাকবেঙ্গলকে বিশ্বের অন্যতম সেরা জাত হিসেবে ঘোষণা করা হয়।