Finance
Economy slowly reviving in Bangladesh
পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব, দোকান ও বিপনি বিতানে বেচা-কেনা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি আর্থিক খাতের বিভিন্ন সূচক অর্থনীতি ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসার সুস্পষ্ট আভাস দিচ্ছে।
বৈশি^ক ও দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর প্রশংসা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন করোনায় প্রাণহানির ঘটনা যদি বড় আকারে আর না ঘটে,তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন করোনাভাইরাস অতিমারির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার মত সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে অর্থনীতির কালো মেঘ কেটে যাচ্ছে। পাশাপাশি ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ বাজারে নগদ অর্থের সরবরাহ সচল রেখে অর্থনীতি ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার গত ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা বন্ধ এবং মানুষ ঘরবন্দি থাকায় অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক দূর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর অর্থনীতির চাকা আবার সচল হতে শুরু করে।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) রফতানি আয় করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে রফতানি হয়েছে ৩৯১ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য, যা বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই মাসের তুলনায় শুণ্য দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। এদিকে, করোনা অতিমারির মধ্যে গত কয়েক মাস যাবৎ রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েই চলেছে। প্রতি মাসে নিয়মিতভাবে রেমিটেন্স আয়ে রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। সর্বশেষ গত জুলাই মাসে ২৬০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স পাঠান প্রবাসীরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বেশি রেমিটেন্স এর আগে কখনই আসেনি।
এদিকে, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির হিসাবে খুচরা পর্যায়ের ৯০ শতাংশ দোকান ইতোমধ্যে খুলেছে। তবে আড়ত বা বড় পরিসরের যেসব পাইকারি দোকান রয়েছে-সেগুলো এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। সংগঠনটির হিসাবে এবারের ঈদুল আজহায় ১২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আর খুচরা পর্যায়ে বেচাকেনা প্রতিদিন বেড়ে চলেছে।