Finance
Fishermen facing troubles in Bangladesh
ময়মনসিংহ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা জানান, করোনা সংক্রমণের পর থেকে ময়মনসিংহ অঞ্চলের মাছ চাষীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বিশেষ করে হাইব্রিড উপায়ে পাঙ্গাশ, কৈ, তেলাপিয়া, শিং, মাগুর, টেংড়াসহ নানা জাতের মাছ উৎপাদনকারীরা। সেই সঙ্গে মাছের হ্যাচারির মালিকরাও পড়েছেন সঙ্কটে। দেশি জাতের মাছ উৎপাদনকারীরাও এর বাইরে নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাঙ্গাশ, কৈ, তেলাপিয়া, শিং, মাগুরসহ নানা জাতের হাইব্রিড মাছ চাষীরা অর্থেও অভাবে মাছের খাবার দিতে পারছেন না। স্বাভাবিক সময়ে ১০-২০ শতাংশ নগদ অর্থ দিলে মাছের সব খাবার দিতেন ডিলাররা। এখন নগদ অর্থ ছাড়া মাছের খাদ্য দিচ্ছেন না তারা। অন্যদিকে ব্যাংক কিংবা অন্য কারও কাছ থেকে ঋণও পাচ্ছেন। ফলে অনেক চাষী মাছের খাদ্য দিতে পারছেন না।
সাধারণ সময়ে ময়মনসিংহ থেকে কৈ, পাঙ্গাশসহ অন্যান্য মাছ ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ সারাদেশে বিক্রি হতো। লকডাউনের পর থেকে কোনো পাইকার কিংবা চাষী ময়মনসিংহের বাইরে মাছ বিক্রির জন্য নিয়ে যেতে পারছেন না। ফলে মাছের দামও পাচ্ছেন না তারা। পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, কৈ মাছের দাম মণ প্রতি প্রায় ১ হাজার টাকা কমে গেছে।
তবে এ অবস্থা চলতে থাকলে মাছের দাম আরও কমতে পারে। দাম না পাওয়ায় ইতোমধ্যে অনেকে মাছ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। আবার মধ্যস্বত্বভোগীরা চাষীদের কাছ থেকে একেবারে কম দামে মাছ কেনার চেষ্টা করছেন। এছাড়া এসব হাইব্রিড মাছ খেলে করোনা হতে পাওে এমন গুজবও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে ফেলেছে চাষীদের।