Finance
Informational Technology to earn Bangladesh 5 Billion dollar
২০২১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিখাতে বাংলাদেশের আয় হবে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রতিটি উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক ক্ষেত্রেই আয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন এবং প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বের কারণেই তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ খ্যাত বাংলাদেশ আজ বাংলাদেশ সমৃদ্ধির মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী ময়মনসিংহ টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা একাডেমি ট্রাস্ট ও বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান স্কলারশিপ স্কীমের আওতায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মধ্যে বৃত্তির চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য ভারতীয স্কলারশিপ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম এক বন্ধু। ভারত সরকার এবং তাদের জনগণ যেভাবে আমাদের পাশে আছে তা এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী শিক্ষার্থীদেরকে তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগিয়েনিজেদেরকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী হিসেবে তৈরী হওয়ার আহবান জানান।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ তথপ্রযুক্তি বিকাশে বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী দেশের আসনে উপনীত হয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্বের অনেক দেশ এখন অনুকরণ করছে। বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশী ছেলে-মেয়েদের উৎপাদিত সফটওয়ার রপ্তানি হচ্ছে। তিনি তথ্যপ্রযুক্তিখাতে তার দীর্ঘ ৩১ বছরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমরা সফল হবই।
তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের শাসনামলে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার, মোবাইল ফোনের মনোপলি ব্যবসা বন্ধ এবং সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ স্থাপনের পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের মাইলফলক স্থাপন করা হয়। তাঁরই প্রচেষ্টায় ২০০৯ থেকে গত ৯ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এগিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হয়েছে। ইর্ষণীয় জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে পৃথিবীর ৪২তম এবং ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতার দিক থেকে ৩১তম অবস্থানে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।
Image: Bangladesh Information and Technology Department