Finance
Literacy rate in Bangladesh touches 73.9 percent
‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতার দিবস-২০১৯’ (৮ সেপ্টেম্বর) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এসব তথ্য তুলে ধরবেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের হিসাবে দেশে বর্তমানে ৫০ থেকে ৬৭ বছর পর্যন্ত সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ৭ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত ৭৩ দশমিক ২ শতাংশ। গড় সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। গত বছর গড় সাক্ষরতার হার ছিল ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। সে হিসেবে এ বছর সাক্ষরতার হার ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সারাদেশে এখানো ২৬ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ নিরক্ষরতার অন্ধকারে রয়েছেন।
উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ বলেন, সাক্ষরতার হার বাড়াতে আমাদের নানা ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে। এ কারণে এ বছর সাক্ষরতার হার এক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, সারাদেশে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সের ২১ লাখ মানুষকে সাক্ষরতার আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এর আওতায় দেশের ১৬টি উপজেলার নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরতার জ্ঞান প্রদান করা হবে। এ কার্যক্রম চলতি বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হবে। বর্তমানে বই ছাপানো, প্রশিক্ষণ গাইড তৈরি ও নিরক্ষর ব্যক্তিদের শনাক্তে জরিপ কাজ শুরু হয়েছে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সেকেন্ড চান্স হিসেবে ১০ লাখ শিশুকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেখানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০১৭ সালে পাইলটিং হিসেবে ৬ উপজেলায় ১ লাখ শিশুকে এর আওতায় আনা হয়েছে। পরবর্তীতে ২৫০ উপজেলা ও ১৫টি শহরে পর্যায়ক্রমে আরও ৯ লাখ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।