Finance
Milk not selling in Rs. 10 per litre
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনার কারণে দুধ উৎপাদনকারী এলাকায় কোনো পাইকার, ঘোষ বা মিষ্টি প্রস্তুতকারী কেউই যাচ্ছেন না। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার দুধ অবিক্রীত থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খামারিরা শহরের দিকেও দুধ নিতে পারছেন না।
এদিকে গরুর খাবার সংকটও তৈরি হচ্ছে। গাড়ি চলাচল না করায় গরুর খাদ্য সরবরাহ করাও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে একদিকে যেমন গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে এখন অনেকে গরুকে আধা পেটে খেয়ে রাখছেন।
ঢাকায় এখন কোনো দোকানে তরল দুধ পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকদিন আগে ৭০ থেকে ৮০ টাকা লিটার বিক্রি হয়েছে দুধ।
দুগ্ধ খামারিরা বলেন, ২০ টাকা লিটার দুধ, তা-ও মানুষ নিতে চাচ্ছে না। গাড়ি বন্ধ হওয়ার কারণে শেরপুরের পাইকাররা আসতে পারছেন না। ফুড ভিলেজসহ মিষ্টির দোকান এবং বড় বড় হোটেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে দুধ বিক্রি করা যাচ্ছে না। আশপাশের যে রেস্তোরাঁগুলো ছিল সেগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে গরুর খাদ্যের দামও বেড়ে গেছে। গাড়ি বন্ধ থাকায় আর কয়েকদিন পরে হয়তো দোকানেও দানাদার খাদ্য পাওয়া যাবে না। ফলে আমরা যারা ছোট খামারি তারা মহাবিপদের মধ্যে আছি।