Finance
Motor cycle industry expected to generate employment
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘মোটর সাইকেল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা, ২০১৮’ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম পরে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, দেশীয় মোটর সাইকেল শিল্পের প্রসার ঘটাতে এই নীতিমালা করা হয়েছে, যেন মোটর সাইকেল আমদানি করতে না হয়। বাংলাদেশে বিদ্যমান মোটর সাইকেল সংযোজন শিল্পের পরিবর্তে এখানে বিশ্বমানের মোটর সাইকেল উৎপাদন কারখানা সৃষ্টিতে উৎসাহিত করা হবে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে এই খাতে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
মোটর সাইকেল খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান পাঁচ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২০২৭ সালের মধ্যে ১৫ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নীতিমালার উদ্দেশ্য হচ্ছে নতুন করে মোটর সেইকেল তৈরি বা সংযোজন যেটাই করা হোক, দেশীয় শিল্প কারখানার মাধ্যমে তা উৎপাদন করা হবে।’ যানজট ও চলাচলের সুবিধার কারণে বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে মোটর সাইকেলের জনপ্রিয়তা বেশ কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে। এর মধ্যে সরকার রাইড শেয়ারিং নীতিমালা অনুমোদন করার পর মোটার সাইকেলের বিক্রি বাড়ছে হু হু করে। বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের বাজারের আকার কেমন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে আমদানিকারক ও পরিবেশকদের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে প্রতিদিন হাজারের বেশি মোটর সাইকেল বিক্রি হচ্ছে, যা পাঁচ বছর আগেও এর অর্ধেক ছিল। বর্তমানে দেশে প্রতি ১১৬ জনে একজন মোটরসাইকেল ব্যবহার করায় এই সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়ানো সম্ভব বলে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে পাঁচ লাখ এবং ২০২৭ সালের মধ্যে ১০ লাখ মোটর সাইকেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে নীতিমালায়। দেশে মোটর সাইকেল তৈরির পর স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সেগুলো সরবরাহ করা হবে।
মোটর সাইকেল শিল্প থেকে বর্তমানে ডিজিপিতে অবদান শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৭ সালের মধ্যে তা ২ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।