Finance

Phillipines: Rice Export market opens for Bangladesh

Phillipines: Rice Export market opens for Bangladesh

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 16 Jul 2019, 08:19 am
ঢাকা, জুলাই ১৬ : ফিলিপাইনে সিদ্ধ চাল রফতানির বাজার খুলছে। বাংলাদেশের চাল কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি। সোমবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফিলিপাইন সরকারের পক্ষে একটি প্রতিনিধি দল চাল কেনার আগ্রহের কথা জানায়।

 এ সময় চাল রফতানিকারকরাও উপস্থিত ছিলেন। দেশের কৃষকদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে সরকার ইতোমধ্যে চাল রফতানির অনুমতি দিয়েছে।


বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এবার বাংলাদেশে চালের উৎপাদন, বিশেষ করে বোরোর উৎপাদন বেশি হয়েছে। বিগত কয়েকটি সিজন আউশ-আমনে এক কোটি ৪০ লাখ টন টার্গেট ছিল, উৎপাদন হয়েছে এক কোটি ৫৩ লাখ টন। এখন আমাদের অনেক মিলার-ব্যবসায়ীর গুদামে যথেষ্ট চাল রয়েছে।


‘এবার বোরোতে উৎপাদন ভালো হওয়ায় অস্বাভাবিকভাবে চালের দাম কমে যায়। আমার বলতে কোনো দ্বিধা নাই, এ মুহূর্তে চালের দাম খুবই কম। এজন্য আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমাদের কৃষক-চাষীরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। ধান চাষাবাদ করে তাদের কোনো লাভ হচ্ছে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, কিছু চাল আমরা বিদেশে রফতানি করব।’


তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিপাইন থেকে একটি দল এসেছে। তারা চাল আমদানিতে সে দেশের সরকারকে সহযোগিতা করেন। দেশটির সরকারও বলছে, তারা জি-টু-জি (সরকার-টু-সরকার) মাধ্যমে চাল কিনতে পারে। তারা কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন মিলে গেছেন, মান দেখেছেন। তারা বলেছেন, বাংলাদেশে চালের গুণ মান ভালো।’


‘ফিলিপাইনের মানুষ সিদ্ধ চাল খায়। সেটাও আমাদের জন্য ফেভারেবল। কাজেই দেশটিতে সহজেই চাল বিক্রি করা যাবে। আমাদের কিছু মিলারের সাথে আলাপ-আলোচনা করেছে, তারা মনে করেছে দামও মোটামুটি রিজান্যাবল। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড তো মূল রফতানিকারক, তাদের দামের তুলনায় আমাদের চালের যে কোয়ালিটি তাতে দাম মোটামুটি ভালো হবে।’


কৃষিমন্ত্রী বলেন, বেলজিয়ামের এক ভদ্রলোক তিনি ফিলিপাইনে থাকেন, উনি চালের জন্য আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছেন। কাল তারা বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন। আমাদের মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি আমরা ভালো ডিল করতে পারব।’


কী পরিমাণ রফতানি করা যাবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে চালের উদ্বৃত্ত আছে। দশ লাখ টন চাল রফতানি করলেও আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ, যেকোনো সময় বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গ্রাজুয়ালি যাব। যেমন- আমরা এখন দুই লাখ টন দিয়েছি। আরও যদি চাহিদা আসে আমরা পাঁচ লাখ করব। এভাবে আস্তে আস্তে যাব।’