Finance
Unhappy with prices, sellers throw away rawhide into Padma river
জানা গেছে, রাজশাহীতে এবার সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হয় কোরবানির পশুর চামড়া। প্রত্যাশিত দামে নিজেরা বিক্রি করতে না পেরে অনেকেই চামড়া সরাসরি দান করেছেন মাদ্রাসা অথবা এতিমখানায়। আবার সেসব চামড়া নিয়েও বিপাকে পড়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী বিক্রি করতে না পেরে সংগ্রহ করা চামড়া পদ্মা নদীতে ফেলে দিয়েছেন। সরকার চামড়ার দাম নির্ধারণ করলেও প্রতি পিস গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে তিনশ’ থেকে চারশ’ টাকা দরে। আর ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি পিস। ছোট আকারের ছাগলের চামড়া বিক্রিই করতে পারেননি অনেকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আড়তদারদের বিনামূল্যে কোরবানির পশুর চামড়া দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
রোববার (২ আগস্ট) রাজশাহী নগরীর আই-বাঁধ এলাকায় কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ীকে প্রায় দেড় হাজার গরু-ছাগলের চামড়া পদ্মা নদীতে ফেলে দিতে দেখা গেছে। এসব ব্যবসায়ী জানান, তারা রাজশাহীর বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে ঘুরে চামড়া কিনেছেন। তারপর বিক্রির জন্য চামড়া রাজশাহী নগরীর রেলগেট এলাকায় আড়তে নিয়ে যান। কিন্তু তারা যে দামে কিনেছেন তার তিন ভাগের একভাগও দাম বলা হয়নি। এসব চামড়া তাদের অন্য কোথাও বিক্রি করতে বলা হয়। কিন্তু তারা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, কোথাও চামড়ার চাহিদা নেই। তারা যে দামে চামড়া কিনেছেন তার অর্ধেক দামও পাবার সম্ভাবনা নেই। তাই ক্ষোভে তারা এসব চামড়া নদীতে ফেলে দিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, মূলধন বকেয়ার অজুহাত দেখিয়ে অধিক মুনাফার আশায় বড় আড়তদারদের সিন্ডিকেট বাজার নিম্নমুখী করে রেখেছে। যদিও আড়তদাররা দায়ী করছেন ট্যানারি মালিকদের।
ঈদের দিন রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায়, চামড়া ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামও দিতে চাননি। চামড়া দেখে তারা নিজেরা ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করেন। ক্রেতা-বিক্রেতার কোনও দরকষাকষি দেখা যায়নি। একরকম নিজেদের নির্ধারণ করে দেওয়া দামেই চামড়া কিনছিলেন ব্যবসায়ীরা। চামড়া নিতে তাদের খুব একটা আগ্রহও দেখা যায়নি। মাঝারি আকারের একটি গরুর চামড়া ৫০ থেকে ১৫০ টাকায় কিনতে দেখা গেছে। আর বড় আকারের গরুর চামড়ার দাম দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা। ছাগলের চামড়ার দাম দেওয়া হয়েছে ৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা।