Column

হৃদয় চায় আরও কিছু বেশি

হৃদয় চায় আরও কিছু বেশি

| | 27 May 2013, 11:10 am
প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের প্রয়াণে ্যে রাজনৈতিক সৌজন্য বি এন পি নেত্রী খালেদা জিয়া দেখিয়েছেন, সমস্ত শ্রেনীর মানুষ তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। যদি প্রত্যেকেই তাঁকে অনুসরণ করেন, তাহলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র দৃঢ এবং শক্তিশালী হয়ে উঠবে।সমস্ত বিক্ষোভ কর্মসূচী স্থগিত রেখে খালেদা জিয়া দলের শাখাগুলিকে যথাযথভাবে সরকার ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোক পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর এই সৌজন্য নিঃসন্দেহে দেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডল এবং সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করবে।

 দেশের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে যে পদক্ষেপ বিরোধী নেত্রী নিলেন, তা অত্যন্ত আনন্দের, কারন তা এটাই বোঝায় যে, দেশে গণতন্ত্র এগোচ্ছে এবং বিরোধীরা প্রেসিডেন্টকে জাতীয় সংহতির প্রতীক হিসেবে দেখছেন।প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে বিদ্বেষপূর্ন সংঘাতের বিরোধী  প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান নিজে রাজনীতিতে সহনশীলতার পক্ষে ছিলেন। দেশের মানুষ মনে করেন খালেদা জিয়া যা করলেন, তা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার জন্য যে প্রচেষ্টা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট করেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছে। মানুষ আশা করছেন এই সুযোগ ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী নেত্রী এক সঙ্গে বসে অন্তত নিজেদের মধ্যে কুশল বার্তা বিনিময় করবেন। বিরোধী নেত্রী তাঁর হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং তার ফলে তাঁর ভাগের সুবিধাও তিনি পাচ্ছেন। নিঃসন্দেহে এটি একটি সদর্থক পরিস্থিতি, যদিও দেশের মানুষের আকাঙ্খা এখনও পূর্ন হয়নি।   

 
যে ভাবে খালেদা জিয়া গণতন্ত্রে তাঁর আস্থা প্রদর্শন করেছেন তা প্রশংসার্হ। এর ফলে মানুষ মনে করছেন যে, অনতিবিলম্বে তিনি ১৯৭১ সালে যারা পাকিস্তানের দখলদারি সেনা বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলে, তাদের পরিত্যাগ করবেন। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, স্বাধীনতা-বিরোধী জামাতকে পরিত্যাগ করলে বি এন পি দশ থেকে এগার শতাংশ বেশি ভোট পাবে। আশা করা যায়, জনগণের ইচ্ছার কথা মাথায় রেখে আমাদের বিরোধী নেত্রী এই বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করবেন এবং সমস্ত ব্যাপারটিকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন।