Column

শিক্ষায় আকর্ষণীয় গন্তব্য ভারত

শিক্ষায় আকর্ষণীয় গন্তব্য ভারত

| | 11 Jul 2013, 01:33 am
উচ্চশিক্ষার আগ্রহ বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সাধারনভাবে প্রবল। আর এই উদ্দেশ্যেই প্রত্যেক বছর দেশের হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নাম লেখান। উচ্চশিক্ষা ছাড়া প্রাথমিক স্তরে শিক্ষা লাভ করার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রবণতাও সাম্প্রতিক কালে দেখা যাচ্ছে।

 এ\'কথা এখন সর্বজনবিদিত যে, ভারতে অন্যান্য দেশের থেকে তুলনায় কম খরচে ভাল শিক্ষা ব্যবস্থা আছে।বাংলাদেশ থেকে যে সব ছাত্র ছাত্রী উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশে যান, তাঁদের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ, বিশেষত যাঁরা ধনী পরিবারের সন্তান, কেবল তাঁরাই পশ্চিমী দেশগুলির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়তে যান, কারন একমাত্র তাঁদেরই সেই আর্থিক ক্ষমতা আছে। বাকীরা কম খরচে যেখান ভালভাবে উচ্চ শিক্ষা লাভ করা যায়, সেই ভারতকেই তাঁদের গন্তব্য হিসেবে বেছে নেন।

 
 শিক্ষায় খরচের ব্যাপার ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারতে যাতায়াতের সুবিধাও এর একটা কারন। পশ্চিমী দেশগুলির তুলনায় অনেক সহজে ভিসার কড়াকড়ি পেরিয়ে, সময় বাঁচিয়ে এবং কম খরচে ভারতে আসা যায় এবং সে দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস, সংস্কৃতি এবং সেখানে থাকার খরচও অনেক বেশি অনুকূল।
 
 পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন বাংলাদেশের জেলাগুলি থেকে অনেকেই তাঁদের বাচ্চাদের প্রাথমিক শিক্ষা নেওয়ার জন্য সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দেন।এই সব শিশুদের অনেকে পড়ে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের আবাসিক স্কুলগুলিতে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে আসা হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জায়গার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। এদের অভিভাবকদের পক্ষে বাংলাদেশ-লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের এই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে তুলনামূলকভাবে খম খরচে যোগাযোগ রাখা অবশ্যই অনেক বেশী সুবিধাজনক।
 
এসব কিছু ছাড়াও ভিসা মঞ্জুর করার ব্যাপারে ভারতের উদার নীতিও বাংলাদেশের ছাত্র ছাত্রীদের সে দেশে টেনে আনে। পারিবারিক উদ্যো ভারতে পড়তে যাওয়া ছাড়াও অনেকে ভারত সরকারের দেওয়া স্কলারশিপ নিয়েও সে দেশে যায়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনের মাধ্যমে শয়ে শয়ে বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রীকে উচ্চশিক্ষার জন্য এই ধরনের স্কলারশিপ ছাড়াও তাদের যাতায়াতের খরচ দিয়ে থাকে।
 
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড আয়োজিত একটি  অধিবেশন হয়ে গেল সম্প্রতি। সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের ৩০টি নামী বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রীদের আরও বেশী করে ভারতে পড়তে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে ওই অধিবেশনে ঘোষনা করা হয় যে, তারা ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে এক চতুর্থাংশ কম খরচে পড়তে পারবে। ভারতে
উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রীদের ইচ্ছা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির এই সিদ্ধান্তের ফলে নিঃসন্দেহে আরও বাড়বে। আশা করা যায়, এই শিক্ষার মাধ্যমেই আরও জোরদার হয়ে উঠবে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক।