Column

Jamaat-e-Islami using iftar in Ramadan month to gain political support

Jamaat-e-Islami using iftar in Ramadan month to gain political support

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 31 May 2018, 08:14 am
শুক্রবার থেকে শুরু হল পবিত্র রমজান মাস। এই সময়টিকে বেছে নিয়ে জনগণকে লক্ষ্য করেছে জামাত-এ-ইসলামি দল।

 দেশজুড়ে বিশাল সব ইফতার পার্টির আয়োজন করেছে তারা অন্তত দলের দায়িত্বপূর্ন  নেতারা তাই দাবি করছেন। একই সংগে এই নেতারা সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হবার কথা ভাবছেন। দেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ন  জায়গাগুলিকে লক্ষ্য করে জামাত এবং তার ছাত্র সংগঠন শিবির নতুন পদক্ষেপ করছে।

 

{special_block_1}এই কারণে বি এন পি-নেতৃত্বাধীন  ২০ দলের জোটের নেতাদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। জামাতের ঢাকা শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ন নেতা মানবকন্ঠকে এই কথা বলেছেন। কিছু জেলায় দল এই ইফতারের মাধ্যমে নেতা এবং কর্মীদের সক্রিয় করে তুলতে চাইছে। 

 

ইতিমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইফতার পার্টির জন্য জনগণের কাছে চাঁদা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জামাত-শিবির। অবশ্য এই বাপারে দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

 

অন্যদিকে, এই দলের কর্মসূচী থেকে বোঝা যায় যে, হঠাৎ করে জ্বলে ওঠা কিছু ঘটনার নকশা এবং, বৈঠক করা হয়েছিল অথবা সংবাদমাধ্যমে প্রচারের জন্য বিবৃতির বয়ান দেওয়া হয়েছিল কিছু পেশাদার মানুষের বাড়ি অথবা দপ্তরে বসে। এ  সবই জামাতের বর্তমান কর্মকান্ড। ২০১১ সাল থেকেই এই সংগঠন এবং তার নেতৃত্ব পরিবর্তিত হচ্ছে। সেইমত ছবিও পাল্টাচ্ছে। হাইকোর্টের আদেশে সাসপেন্ড হওয়া জামাত-এ-- ইসলামি আগামী নির্বাচনের আগে জনগণের কাছে পৌঁছোতে চাইছে।

 

দলের এই সিদ্ধান্তের কথা কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ঢাকা শহরের বেশ কিছু দায়িত্বপূর্ন নেতা জানিয়েছেন। জামাতের এই নেতারা বলছেন যে, জামাত তার কর্মকান্ড পালটাচ্ছে। দলের নীতি নির্ধারকরা এখন সাত বছর ধরে বন্ধ হয়ে থাকা রাজনৈতিক দপ্তরগুলি আবার খুলতে চাইছেন।

 

দলের কেউ অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তার হলে তা প্রকাশ না করার যে গোপন নীতি এতদিন ছিল, তার পরিবর্তন হতে চলেছে। এখন থেকে  গ্রেপ্তার হওয়া এবং জামিন পাওয়ার সব খবরই সংবাদমাধ্যমের কাছে দেওয়া হবে। জামাত নেতারা জানাচ্ছেন যে, নিয়মিতভাবে রাজনীতিতে অংশ নেওয়া এবং দৈনিক কর্মসূচী পালন করার জন্য কেন্দ্রীয় স্তর থেকে নির্দেশ এসেছে। দলের কন্দ্রীয় কমিটির কথামত  তৃণমূলস্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।{special_block_2}

 

জামাতের সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট  এশানুল মাহবুব জুবেইর মানবকন্ঠকে বলেছেন, "আমরা আশা করি সরকার নরম হবে। গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ন দিকগুলিএর মধ্যে নির্বাচন একটি। আশা করছি নির্বাচনের সময় সরকার আমাদের অল্প অথবা স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করতে দেবে। "

 

জামাতের সূত্র থেকে বলা হয়েছে যে, জামাত সারা দেশে  তাদের বন্ধ হয়ে যাওয়া অফিসগুলি খোলার চেষ্টা করবে।  এই অফিসগুলির মধ্যে আছে ২০১১ সাল থেকে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা দলের কেন্দ্রীয় এবং নগর অফিসগুলিও।

 

সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পাওয়া এক জামাত নেতা বলেছেন, আগামী নির্বাচনের আগে কী ভাবে দলের কার্যকলাপ জোরদার করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করছেন কারাগারে বন্দী দলীয় নেতারা। যে হেতু ২০১৫ সালে থেকে জামাতের কার্যকলাপ কমে এসেছে, তাই তাকে এবার ধীরে ধীরে আবার বাড়িয়ে তুলতে চাইছেন নেতারা। এ ক্ষেত্রে দলের স্ট্র্যাটেজি এখনও ঠিক করা হয়নি। 

 

সূত্র থেকে বলা হয়েছে, দলের যে সব কেন্দ্রীয় নেতা এখন জেলে আছেন, তাঁরা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। জামাতের কার্যনির্বাহী আমির, অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের অন্যতম ঘনিষ্ঠ এক নেতা আবার দলীয় দপ্তরগুলি খোলার ব্যাপারে  মন্তব্য এড়িয়ে গেছেন।

 

তিনি বলেছেন, সরকার তাঁদের শান্তিপূর্নভাবে মিলিত হতে দিচ্ছেনা। দলের পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইফতার নিমন্ত্রণের জন্য। এই গ্রেপ্তারি করা হচ্ছে গোপন বৈঠক এবং নাশকতামূলক কাজকর্ম করার জন্য।

 

জামাতের সূত্র থেকে বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঠিক করার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যেই ৭০ টি কেন্দ্রের জন্য শক্তিশালী প্রার্থী বাছা হয়ে গেছে। তবে সে সব প্রার্থীর নাম এখনও জানা যায়নি। 

 

এই সূত্র থেকে বলা হয়েছে যে, গত কয়েক মাসে জামাত কর্মীদের গ্রেপ্তার হওয়ার সংখ্যা কমে গেছে। ফেব্রুয়ারির গোড়ায় এই ধরণের গ্রেপ্তারী বাড়লেও জামিনে খালাস পাওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। 

 

দলের সহযোগী সংগঠনের অন্যতম এক প্রধান নেতা বলেছেন যে দল তিনশো আসনের জন্য প্রার্থী বাছাই করছে এবং এই প্রক্রিয়া চলছে। অবশ্য প্রার্থীদের সংখ্যা চূড়ান্ত করা হবে জোটের মধ্যে কথাবার্তা বলে, সমন্বয় বজায় রেখে। নেতাটি আরও বলেছেন, নির্বাচনের আবহাওয়া একবার তৈরি হলেই জামাত তার স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করে দেবে। প্রার্থী বাছাই খুব বড় বাধার ব্যাপার নয়, জামাতের রেজিস্ট্রেশন করানোই বড় ব্যাপার।

 

জামাতের রেজিস্ট্রেশন হাই কোর্টের আদেশে সাসপেন্ড হয়ে রয়েছে, আর ইলেকশন কমিশন বাতিল করেছে দলীয় প্রতীক। এই ব্যাপারটি জামাতকে দুশ্চিন্তায় রেখেছে। দলের সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ইশানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, "হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে।"

 

এ বিষয়ে শুনানির কোনও তারিখ এখনও দেওয়া হয়নি।

 

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, "শুনানি অবশ্যই হবে। যদি মামলা করা হয়ে থাকে, তাহলে শুনানি হবেই। বিষয়টি তালিকায় আছে। আদালত সময় দিলেই শুনানি হবে।"

 

ইতিমধ্যে জামাত-শিবির রমজান মাসে বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে, যার মধ্যে আছে বন্দী এবং মৃত্যুদণ্ড পাওয়া যুদ্ধাপরাধীদের জন্য প্রার্থনা করা।