Column

Sinha’s appeal for unity of Hindus

Sinha’s appeal for unity of Hindus

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 09 Jul 2018, 06:32 am
সংবাদমাধ্যমের খবর, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্রকুমার সিনহা জুনে মাসের ২ তারিখে নিউ ইয়র্কের কুইনসে লোকনাথ সোসাইটির একটি হিন্দু মন্দিরে গিয়েছিলেন।

মন্দিরে  আসা ভক্তদের সংগে কথা বলার সময় তিনি হিন্দুদের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার কথা উপলব্ধি করেন। ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রাত্যহিক প্রতিবন্ধকতাগুলিকে মোকাবিলা করার জন্য তাদের বোঝান তিনি। এক সময় তিনি বলেন যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে প্রথম প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

 

 

এর আগে, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে স্বাস্থ্যের কারণে এক মাস ছুটিতে থাকার সময় লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষ্যে ঢাকেশ্বরী মন্দির দর্শনের সময় সেখানে সমাগত মানুষদের সঙ্গেও বাক্যালাপ করেন সিনহা। সেই সময় উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারি রানা দাশগুপ্ত এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র উকিল সুব্রত চৌধুরী।

 

 

সমাগত ভক্তদের সংগে কথা বলার সময় সিনহা এই অভিমত প্রকাশ করেন যে, কিছু ভুল করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগই তাঁদের কাছে সবথেকে বেশি গ্রহণযোগ্য দল। এদের থেকে  বড় বন্ধু আর কেউ হবেনা বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর যে নির্যাতন  তাঁদের উপর হয়েছিল, তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাঁদের তিনি আওয়মী লীগের পিছনে দাঁড়াতে বলেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানপন্থী দলগুলিকে পছন্দ করার কথা ভাবা মোটেই সমীচীন হবেনা।
 

 

প্রধান বিচারপতি হিসেবে জেনারেল জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা সহ বেশ কিছু অতি গুরুত্বপূর্ন রায় দিয়েছেন সিনহা। যে অ্যাপেলেট ডিভিশন বেঞ্চে সংবিধানের ১৩তম  সংশোধনীর আপীলের শুনানি হয়েছিল এবং যে বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার-প্রথা বাতিল করেছিল, তার প্রধান ছিলেন বিচারপতি সিনহা। দেশের জনক শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড মামলায় ২০০৯ সালে যে আপীলগুলি করা হয়েছিল, সেগুলির শুনানি যে বেঞ্চে হয়েছিল, তারও এক সদস্য ছিলেন তিনি। সম্প্রতি, তাঁর রায়ে বেশ কয়েক জন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি হয়েছে।

 

 

নভেম্বর ১১, ২০১৭ তারিখে বিদেশে থাকাকালীন দেশের প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সিনহা প্রধান বিচারপতি হিসেবে পদত্যাগ করেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, স্বাস্থ্যের কারণে ছুটি নিয়ে বিদেশে থাকাকালীন প্রধান বিচারপতি তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগ নিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের উদ্দেশ্যে বি এন পি-র অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আইনমন্ত্রী কোনও রকমের সরকারি চাপের কথা অস্বীকার করে বলেছেন সিনহা তাঁর কর্তব্যপরায়ণতা এবং প্রজ্ঞার জন্য অত্যন্ত সম্মাননীয় একজন ব্যক্তি।