Column

বর্তমান সরকারের অধীনেই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব

বর্তমান সরকারের অধীনেই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব

| | 27 Jun 2013, 01:16 pm
সম্প্রতি চারটি নগর পুরসভার নির্বাচন হয়ে গেল এবং তার ফলাফল সকলেরই জানা।এই নির্বাচনগুলি আওয়ামী লীগ -নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের শাসনকালে হলেও দেখা যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল-সমর্থিত সমস্ত প্রার্থীরাই কিন্তু বিরোধী-সমর্থিত প্রার্থীদের কাছে পরাস্ত হয়েছেন। মজার ব্যাপার হল, ভোটের দিনেও বিরোধী পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে পারেনা এবং আসন্ন সাধারন নির্বাচনও যদি এইভাবেই হয়, তবে তারা তাতে অংশ নেবেনা।

 যা দেখা যাচ্ছে, পুরসভা নির্বাচনে  শাসকদল-সমর্থিত প্রার্থীদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সব ক\'টি জায়গায় জয়ী হওয়া বি এন পি এখন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আগামী সাধারন নির্বাচন হলে তাতে যোগ না দেওয়ার দলীয়  সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিতীয়বার চিন্তা করছে। পুরসভা নির্বাচনে দলের ব্যাপক সাফল্যে উল্লসিত বি এন পি নেতারা এখন কিন্তু বর্তমান সরকারের দায়িত্বে সাধারন নির্বাচন হলেও তাতে অংশ নিতে অরাজি নন। 

 
 তদারকি সরকারের অধীনে সংসদীয় নির্বাচন করার পুরনো প্রথায় ফিরে যাওয়ার জন্য বি এন পি\'র যে দাবি, তা মেনে নিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আগেও রাজি ছিলনা, এখনও নয়।সব থেকে বড় কথা, সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া নগর পুরসভা নির্বাচনগুলি সরকারের অবস্থানকেই সমর্থন করছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সব প্রার্থীদের হেরে যাওয়ার মানে সরকার কোনও পক্ষপাতিত্ব করেনি, অর্থাৎ ভোট নিরপেক্ষভাবেই হয়েছে। ফলাফলে ক্ষোভ প্রকাশ করে পরাজিত প্রার্থীরা রাস্তায় তো নামেনইনি, বরং বিজয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে  হার মেনে নিয়েছেন। 
 
এর পরে স্পীকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে বি এন পি সদস্যরা এখন সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত থাকছেন। তার ফলে সাম্প্রতিক অতীতে যা ছিলনা, সংসদে হৃদ্যতার আবহাওয়াও দেখা যাচ্ছে। তদারকি সরকারের দাবি থেকে এখনও পুরোপুরি সরে না এলেও প্রধান বিরোধী দল উপলব্ধি করতে পারছে যে, নির্বাচন সত্যি সত্যি বয়কট করলে দলের এক শ্রেনীর নেতা, যাঁরা এখন আর তা চাননা,তাঁরা দল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন, এবং তার ফলে শেষ পর্যন্ত দলেরই সাংঘাতিক ক্ষতি হতে পারে। অন্যদিকে বর্তমান সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব বলে প্রধানমন্ত্রীও স্থির নিশ্চিত। কেননা একটি নির্বাচনকে সকলের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহনযোগ্য করে তোলা তো সরকারেরই দায়িত্ব!