Finance

Bangladesh govt paying more importance to Rail to increase business with India
Amirul Momenin

Bangladesh govt paying more importance to Rail to increase business with India

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 22 Jul 2020, 10:15 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুলাই ২২ : মঙ্গলবার ভারতীয় পণ্যের প্রথম চালানটি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি সেজুঁতি’। চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো জাহাজের মালামাল কুমিল্লার বিবিরবাজার অথবা আখাউড়ার সড়কপথ দিয়ে ভারতের আগরতলায় যাবে। তবে দু’দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে রেলপথকে গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বাংলাদেশ ও ভারত, উভয় দেশই সংক্রমণ রোধে ‘লকডাউন’ (অবরুদ্ধ অবস্থা) ঘোষণা করে। ফলে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সেই ক্ষতির পরিমাণ কমাতে উভয় দেশ রেলপথে পণ্য পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইতোমধ্যে রেলে পণ্যপরিবহন শুরু হয়েছে। তবে পরিমাণ আরও বাড়াতে কাজ করছে উভয় সরকার।


সূত্র জানায়, রেলে পণ্য পরিবহনে খরচ ও ঝামেলা দুটোই কম। ইতোমধ্যে ট্রেনে পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে। রেলে বাণিজ্য বাড়ানোর প্রক্রিয়াটা খুব জোরেশোরে চলছে। করোনার প্রথমদিকে ভারতে থেকে মালবাহী ট্রেনে পণ্য আসতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু এখন এ ধরনের ট্রেন আসার সংখ্যা বেড়েছে। বেনাপোল, দর্শনাসহ অন্যান্য রুট দিয়ে প্রতিদিন চার-পাঁচটা করে মালবাহী ট্রেন আসছে।

পাশাপাশি বেনাপোল, যশোর, খুলনাসহ আরও অন্যান্য এলাকায় ক্যাপাসিটি বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। সেই সংগে প্রয়োজনে মালগাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হবে।


এ বিষয়ে বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির (ইএবি) সভাপতি এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। তাই সেখান থেকে দ্রুত যে কোন পণ্য আনতে পারি।

সেক্ষেত্রে ট্রেন সবসময় নিরাপদ। তাই আমরা যারা ভারত থেকে পণ্য আমদানি করছি বা রফতানিও করব, তাদের জন্য ট্রেনের সংখ্যা যত বাড়বে ততই ভালো। ট্রেনের মাধ্যমে পণ্য আমাদানি-রফতানি করলে একদিকে নিরাপত্তা বেশি থাকে অন্যদিকে খরচও কম পড়ে।’


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার মধ্যে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য অস্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও বাংলাদেশ থেকে কোনো ট্রাককে সেদেশে প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছিল। অবশেষে ১০৫ দিন পর বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি শুরু হয়।


এদিকে দু’দেশের মধ্যে পরিবহন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় ভারতীয় হাইকমিশন সরবরাহ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পার্সেল ট্রেন পরিষেবা সহজতর করার প্রস্তাব দেয়। বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ তাতে সম্মতি জানানোর পর গত ১৩ জুলাই ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ থেকে শুকনো মরিচ বহনকারী প্রথম পার্সেল ট্রেন বাংলাদেশের বেনাপোলে পৌঁছায়।