Finance

PM Hasina gives instruction for economy zone
Amirul Momenin

PM Hasina gives instruction for economy zone

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 31 Dec 2019, 11:34 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ডিসেম্বর ৩১ : দেশে ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এখন ২৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির কাজ জোরেশোরে চলছে। এর মধ্যে ১৩টি অঞ্চল সরকারি খাতে এবং ১৫টি অঞ্চল বেসরকারি খাতে। চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের বেশকিছু ইউনিট উৎপাদন শুরু করে দেশের রফতানি আয়ে সুবাতাসও দিচ্ছে।

এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা ওই বৈঠকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে সাতটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছ।


প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো হচ্ছে- ১. অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়া যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিতভাবে শিল্প স্থাপন নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ অন্যান্য পরিষেবা প্রদান প্রক্রিয়া পর্যায়ক্রমে বন্ধ করতে হবে। শিল্প উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপনসহ বিনিয়োগের পরামর্শ দিতে হবে। ২. শিল্পের জন্য বরাদ্দ জমি ফেলে রাখা যাবে না, অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেসব বিনিয়োগকারী জমি বরাদ্দ নিয়েছেন তা ঠিক মতো শিল্পে ব্যবহার হচ্ছে কি-না তা তদারকির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধিসহ একটি কমিটি গঠন করতে হবে।


৩. দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা ও নিরাপত্তা বিবেচনায় কৃষি জমি সংরক্ষণ করতে হবে। ৪. বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহ রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে কি-না তা দেখার জন্য বেজা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ৫. কক্সবাজার জেলাধীন মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ায় শুধু ইকো-ট্যুরিজম পার্কভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। সোনাদিয়া দ্বীপ ও দ্বীপ সংলগ্ন লাল কাঁকড়া ও কচ্ছপসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে হবে। এখানে মাছের ঘের কিংবা কোনো শিল্প কারখানা স্থাপন করা যাবে না। ৬. সোনাদিয়া দ্বীপে বেজা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বনায়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।

৭. সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক উন্নয়নের ফলে যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নে বন্যা ও সাইক্লোন বিবেচনায় নিতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো দেশের অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠবে। পাশাপাশি সুরক্ষিত থাকবে পরিবেশ ও প্রতিবেশ।