Finance
Special facilities to be given if invested in Bangladesh
‘বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগবান্ধব নীতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট’ করেছে উল্লেখ করে তিনি বিদেশে মার্কেট খোঁজার জন্য দেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছতে হলে ব্যবসা-বাণিজ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কথায় আছে ‘বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী’ আমরা নিজেরা ব্যবসা করি না, কিন্তু ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার জন্য যে সুযোগ-সুবিধা দরকার তা আমরা করে দিচ্ছি। বাংলাদেশের রফতানি শুধু একটা দুটো পণ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। আরও বাড়াতে হবে। এ জন্য যে সুযোগ-সুবিধা দরকার, তা আমরা করে দেব।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে প্রবৃদ্ধির হার যখন কমছে তখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বাড়ছে। বর্তমানে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৫ ভাগ।
আমাদের দেশের মানুষের আগে ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এরপর আমরা বিদেশে রফতানি করব। ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য বা বিনিয়োগের জন্য ভূমি বা জমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটা বিষয়ে আমরা ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। যেখানে সারা বিশ্বের যে কেউ সহজে এসে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারেন। আমরা তাদের (যারা ইতোমধ্যে এসেছেন) বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য আরও কীভাবে সহজ করা যায়, আমরা সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি। আমাদের রিজার্ভ যথেষ্ট ভালো। প্রত্যেকটা দূতাবাসে আমাদের নির্দেশনা দেয়া আছে, সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশের একটা মার্কেটিং কীভাবে গড়ে তোলা যায়। সেভাবে তাদের নির্দেশনা দেয়া আছে। এখন ডিপ্লোমেসিটা শুধু কূটনীতিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। এখন ডিপ্লোমেসি করতে হবে ইকোনমিক দিপ্লোমেসি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আইসিটিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। যত বেশি ডিজিটাল ডিভাইস করা যাবে ততো আমরা লাভবান হব। আইসিটি একসময় এ দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হয়ে দাঁড়াবে।