Finance

PM Hasina instructs ministry to implement road toll tax
মঙ্গলবার একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (ছবি : পিআইডি)।

PM Hasina instructs ministry to implement road toll tax

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 18 Aug 2020, 11:55 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৯ আগস্ট ২০২০ : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় সড়কে টোল আদায় নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে একনেক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার কথা অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সড়কে টোল বসাতে বলেছেন। টোল সংযোজিত হবে। কারণ আমাদের রাস্তা বানাতে হবে। রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। মেরামত করতে হবে। মেরামত না করলে আপনারা সবাই বিরক্ত হন। সুতরাং টোল করে সামান্য টাকা চাঁদা দিয়ে যাবেন ।’

এম এ মান্নান বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। টোল ফ্রি না করে, টোল যেন নেয়া হয়। যাতে কস্টটা রিকভারি হয়। তবে টোলের সিস্টেমটা দ্রুত করতে হবে। গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে এক ঘণ্টা, এটা ঠিক নয়। এখন টেকনোলজি আছে, তাড়াতাড়ি নিয়ে নিতে হবে’।

 

৫২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দাউদকান্দি-গোয়ালমারী-শ্রীবায়েরচর (কুমিল্লা) মতলব উত্তর (ছেঙগারচর) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প অনুমোদনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই সড়ক টোল ফ্রি রাখা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তিনি মনে করেন, ব্যয় সংকুলানের জন্য টোল ফ্রি না রেখে সামান্য হলেও টোল আদায় করা উত্তম।

 

শেখ হাসিনা টোল আদায়ের বিষয়ে মত ব্যক্ত করে আরো বলেন, একটি সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বড় আকারের তহবিলের প্রয়োজন হয়, তাই ব্যয় সংকুলানের জন্য সড়ক ও মহাসড়ক থেকে টোল আদায় করা উচিত।

 

প্রধানমন্ত্রী সড়ক ও মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত ছোট ছোট রাস্তার উন্নয়ন ও পুরনো সেতুর জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

 

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, পানি ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট দুই প্রকল্প অনুমোদনের প্রাক্কালে শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সময়ের নদী ভাঙ্গণের বিষয় উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদী ভাঙ্গণের কারণে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নষ্ট হয়ে গেছে। তাই, ভবিষ্যতে এ ধরনের অবকাঠামো বড় বড় নদীর তীরে স্থাপন করা ঠিক হবে না। বরং নদীর গতি-প্রকৃতি বা চরিত্র বুঝে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।