South Asia

Pakistan: Women still fighting for rights

Pakistan: Women still fighting for rights

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 23 Mar 2020, 04:41 am
ঢাকাঃ নারীদের অধিকার একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আজকের পৃথিবীতে তবে আজও এমন একটি ব্যাপার প্রশ্নের মুখে পরে পাকিস্তানের মত একটি দেশে।

এই মাসের শুরুতে পাকিস্তানের রাস্তায় নিজেদের অধিকারের কথা তুলে ধরতে নেমেছিলেন মহিলারা। মার্চগুলির নাম ছিল ‘অউরত মার্চ’।

 

 তবে, দুঃখের বিষয় হল একদল পুরুষ  তাদের সেই আন্দোলনে হামলা চালায় এবং শেষ পর্যন্ত তা পণ্ড করে দেয়।  

সেদিন পাকিস্তানের বিভিন্ন নগরে মহিলারা নিজেদের দাবি নিয়ে পথে নেমেছিলেন।

 

প্রসঙ্গত দিনটি ছিল নারী দিবস। দেশের মহিলাদের দেখা যায় নিজেদের হাতে প্লেকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নেমেছেন।

 

তাতে লেখা ছিল কিছু শক্তিশালী বার্তা যেমন-  “আমার শরীর, আমার পছন্দ”।

 

তবে, যেমনভাবে পণ্ড হয়ে সেইদিনের মিছিল সেইভাবে পাকিস্তানের মাটিতে দীর্ঘ দিন ধরে দাবিয়ে রাখা হয়েছে তাদের দাবি ও অধিকার।

 

নারী অধিকার নিয়ে ঝড় উঠলেও, বদলায়নি কিছুই।

 

‘অনার কিলিং’ এর মত নৃশংস ঘটনা আজও ঘটে চলেছে পাকিস্তানে। ২০১৬ সালে দক্ষিণ পাঞ্জাবের কান্দিল বালুচ নামের এক মডেল ও অভিনেত্রীকে টার ভাই হত্যা করেছিল।

 

এমন ঘটনা পাকিস্তানের নারীদের অবস্থানকে পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দেয়।

 

কি দোষ করেছিলেন এই পাকিস্তানি মডেল- জানেন কি?


ওনার অপরাধ ছিল মডেলিং ও শোবিজ অঙ্গনে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা।

 

খোলামেলা পোশাক পরা অবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা গেছিল ওনাকে। আবার মদ খেয়ে মাতলামো করতে দেখা যায় ওনাকে কিছু ভিডিওতে। ব্যাস কিছুদিন পড়েই ওনাকে হত্যা করা হয়।

 

"কান্দিল বালুচের জন্ম ১৯৯০ সালে। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় যৌন নিগ্রহের শিকার হন তিনি। এক সময় বাধ্য হয়ে তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। হয়ে ওঠেন একজন বিদ্রোহী নারী। নিজের পায়ে দাঁড়াতে মডেলিংয়ে জড়ান তিনি," বাংলাদেশ প্রতিদিন নিজেদের এক রিপোর্টে লিখেছে।

শোবিজ অঙ্গনের আয় থেকেই প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ হাজার রুপি মা-বাবাকে দিতেন কান্দিল বালুচ। অথচ বাবা-মা না খেয়ে থাকলেও খোঁজ নিতেন না তার ভাই। শুধু তা-ই নয়, তিনি তার বোনকেও সহযোগিতা করতেন। প্রায়ই দামি উপহার দিতেন। কিন্তু তার ভাই তাকে বাঁচতে দেয়নি, খবরের কাগজে বলা হয়।

 

মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস কমিশন অব পাকিস্তান’ এর তথ্য মতে, সে বছর দেশটিতে মোট ৩২৬টি অনার কিলিংয়ের ঘটনা ঘটেছে এবং টার মধ্যে ৩১২টি ক্ষেত্রে শিকার হয়েছেন নারীরা।

 

সেই দেশে আজও নারী সাংবিধানিকভাবে পুরুষের অর্ধেক অধিকার পায়।