Travel

Sadarghat: Cable Car to be started

Sadarghat: Cable Car to be started

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 14 Apr 2019, 08:31 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, এপ্রিল ১৪ : সদরঘাটে নৌকায় ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার এড়াতে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর যাত্রীবাহী ও মালবাহী ক্যাবল কার (রোপওয়ে) চালুর প্রস্তাব দিয়েছে ভারতের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। ক্যাবল কার করতে সম্ভাব্যতা যাচাই বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

গত ১৯ মার্চ ভারতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কনভেয়র অ্যান্ড রোপওয়ে সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিনিধি দল সদরঘাট পরিদর্শন করেন। পরদিন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ওই বৈঠকে তারা ক্যাবল কার নির্মাণের বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেন। ওই বৈঠকে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সচিব মো. আবদুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন।

 

৩০ মার্চ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখর চক্রর্বুী নৌ-পরিবহন সচিবের কাছে তাদের প্রস্তাব সংবলিত চিঠিটি দেন। তবে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ধরনের প্রস্তাব অনানুষ্ঠানিক, বিদেশি কোনো কোম্পানির প্রকল্প প্রস্তাব অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে আসতে হবে।


নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ বলেন, ‘ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের ক্যাবল কার নির্মাণের একটা প্রস্তাব পেয়েছি। আমরা এটা পরীক্ষা করে দেখব। কারণ বুড়িগঙ্গার ওপর ক্যাবল কার নির্মাণের বিষয়ে আমাদেরও আগ্রহ রয়েছে। তবে সম্ভাব্যতা যাচাই করে যদি আমরা দেখি এটা করা যুক্তিযুক্ত এবং টেকনিক্যাল পার্সনরা যদি মত দেন, তখনই এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’


সরাসরি প্রস্তাব দেয়ার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে, সেজন্য সরাসরি একটা প্রস্তাব আমাকে দিয়েছে। তবে এটি ইআরডির মাধ্যমেই প্রসেস হবে।’


সদরঘাটে নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে- জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রস্তাবে বলেছে, সদরঘাট দিয়ে বিপুল সংখ্যক যাত্রী বিশৃঙ্খলভাবে নদী পার হন। শুধু যাত্রীরাই নন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লঞ্চে করে যাত্রীরা সদরঘাটে আসেন।


প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, যারা নদী পার হন কিংবা সদরঘাট দিয়ে দূর-দূরান্তে যান; সার্বিক এ ব্যবস্থা পৃথক হওয়া উচিত। এছাড়া দেখা গেছে, নদী পার হতে গিয়ে ডিঙি নৌকা উল্টে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। বুড়িগঙ্গার দুই তীর ক্যাবল কারের মাধ্যমে সংযুক্ত করলে তা প্রতিদিনের যাত্রী পারাপার সহজ করবে এবং নদী ও নদীর তীর পরিষ্কার রাখতে সহায়ক হবে। টার্মিনালগুলো দূরপাল্লর লঞ্চ ভেড়া ও ছেড়ে যাওয়ার জন্য নিরাপদ রাখা যাবে।