Muktijudho

Five gets Death sentence in War Crime

Five gets Death sentence in War Crime

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 15 Oct 2019, 11:56 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, অক্টোবর ১৬ : একাত্তরে গাইবান্ধা সদরে অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট, হত্যা ও দেশেত্যাগে বাধ্য করার মত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে বাবা-ছেলেসহ পাঁচ আসামির ফাঁসির রায় এসেছে যুদ্ধাপরাধ আদালতে। বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণা করে।

সর্বোচ্চ সাজার আদেশ পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন- মো. রঞ্জু মিয়া, আবদুল জব্বার ম-ল, তার ছেলে মো. জাছিজার রহমান খোকা, মো. আবদুল ওয়াহেদ ম-ল ও মো. মনুাজ আলী বেপারি ওরফে মমুাজ। তাদের মধ্যে কেবল রঞ্জু মিয়া রায়ের সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা মামলার শুরু থেকেই পলাতক। পাঁচ আসামির সবাই গাইবান্ধা সদর উপজেলার নান্দিনা ও চক গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা। একাত্তরে তারা সবাই ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় সদস্য।


মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষ নিয়ে তারা রাজাকার বাহিনীতে নাম লেখান এবং ওই এলাকার বিভিন্ন গ্রামে যুদ্ধাপরাধ ঘটান বলে উঠে এসেছে এ মামলার বিচারে। ১৭৬ পৃষ্ঠার রায়ে আদালত বলেছে, আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা চারটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগেই আসামিদের দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদ-।


নিয়ম অনুযায়ী, রায়ের এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ পাবেন আসামিরা। তবে সেই সুযোগ নিতে হলে পলাতকদের আগে আত্মসমর্পণ করতে হবে।


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত রায় আসা ৪০টি মামলার ১০২ জন আসামির মধ্যে ছয়জন বিচারাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মোট ৯৪ জনের সাজা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬৭ যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ সাজার রায় এসেছে।
উপরে (বাম দিক থেকে) মো. আব্দুল জব্বার ম-ল, মো. জাছিজার রহমান ওরফে খোকা, মো. আব্দুল ওয়াহেদ ম-ল, নীচের সারিতে মো. মোন্তাজ আলী ব্যাপারী ওরফে মমুাজ, মো. আজগর হোসেন খান (তদন্ত চলাকালে মারা গেছেন) ও মো. রনজু মিয়া।উপরে (বাম দিক থেকে) মো. আব্দুল জব্বার ম-ল, মো. জাছিজার রহমান ওরফে খোকা, মো. আব্দুল ওয়াহেদ ম-ল, নীচের সারিতে মো. মোন্তাজ আলী ব্যাপারী ওরফে মমুাজ, মো. আজগর হোসেন খান (তদন্ত চলাকালে মারা গেছেন) ও মো. রনজু মিয়া।যুদ্ধাপরাধী বাবা-ছেলে।


এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ছয়জন। তাদের মধ্যে আজগর হোসেন খান মামলার তদন্ত চলাকালেই মারা যান।

২০১৮ সালের ১৭ মে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বাকি পাঁচ আসামির যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।

আসামিদের মধ্যে গ্রাম্য চিকিৎসক আব্দুল জব্বার ম-লের বয়স এখন ৯০ বছর। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে থেকেই তিনি জামায়াতে ইসলামীতে সক্রিয় ছিলেন।