Muktijudho
সাঈদী আমৃত্যু কারাদণ্ড দিল কোর্ট
আজকের রায়টি আসামি এবং রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল দুটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে আংশিক মঞ্জুর করে দিয়েছে কোর্ট।
রায়টি প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ঘোষণা করেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই বছরের ১৬ এপ্রিল জামায়াতে ইসলামীর নায়েব-এ-আমিরের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় অপেক্ষমাণ রেখেছিল।
রায়কে কেন্দ্র করে দেশেজুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৩এ ঢাকায় একটি ট্রাইব্যুনাল সাঈদীকে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় করা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শাস্তিস্বরূপ প্রাণদণ্ড দেয়।
৭৩ বৎসরের সাঈদীকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয় আটটি যুদ্ধকালীন অপরাধের জন্যে।
তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল জানায় সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা কুড়িটির মধ্যে আটটি অপরাধ প্রমাণিত হয়ে গেছে।
তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় দুটি মামলায় যেটি দায়ের করা হয় ইব্রাহিম কুট্টি ও বিশা বালির খুনের পরে।
ট্রাইব্যুনালের রায় প্রত্যাখ্যান করে সাঈদী উঠে দাঁড়ায় ও জজদের দোষারোপ করে বলেন যে তাঁরা এই রায় \'মন থেকে\' দেন নি।
তিনি বলেন জজেরা শাহবাগের \'কিছু নাস্তিকদের চাপে পড়ে\' এই রায় দিচ্ছেন।
কিন্তু বিচারকক্ষে উপস্থিত অনেকে সাঈদীকে এই বলে চুপ করিয়ে দেয় যে তিনি \'প্রমাণিত রাজাকর\'।
সাঈদীকে পরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
জামায়াতের হয়ে নির্বাচিত প্রাক্তন সাংসদ সাঈদীর বিরুদ্ধে ১৯৭১এর মুক্তিযুদ্ধের সময় করা লুটপাট, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তর সহ ১৯টি চার্জ লাগানো হয়েছিল।
জামায়াতের উপ-সভাপতি সাঈদীকে অক্টোবর ৪, ২০১২তে অভিযুক্ত ঘোষণা করা হয়।