Muktijudho
Muktijuddho: High court keeps minimum age
বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৩ জুলাই এ বিষয়ে শুনানি হবে। আপাতত হাইকোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ব্যারিস্টার ওমর সাদাত। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ১৯ মে ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স ন্যূনুম ১২ বছর ছয় মাস নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশোধিু পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর কোথাও মুক্তিযোদ্ধাদের বয়সের ফ্রেমে বাঁধা যায় না।’
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। পরে এই রায় স্থগিণ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
ব্যারিস্টার ওমর সাদাত বলেন, ‘পরিপত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা হয়েছিল, যার ধারাবাহিকতায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার ভাতা আটকে গিয়েছিল। কিন্তু আদালত আজ তাদের (১৫ জন রিটকারীর) সেই বকেয়া ভাতা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টে দেয়া এই রায়টি গুরুত্বপূর্ণ। আদালত বলেন- মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা পরির্বুনের কোন সুযোগ নেই, এটি একেবারেই অপরির্বুনীয়।
তিনি বলেন, আদালত বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সংজ্ঞা দেয়ার কিছু নেই। ঐতিহাসিক সাক্ষীর ভিত্তিতে কে মুক্তিযোদ্ধা আর কে মুক্তিযোদ্ধা না তা নির্ধারণ হবে। মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধাই। এখানে তর্কের কোনো অবকাশ নেই।
২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক পরিপত্রের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স ১৩ বছরের স্থলে ১২ বছর ছয় মাস নির্ধারণ করা হয়। পরে এই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ১৫ জন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট করেন।
২০১৬ সালে প্রথমে গেজেট প্রকাশ করে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৩ বছর। এরপর গণ ১৭ জানুয়ারি একটা পরিপত্রের মাধ্যমে সে গেজেট সংশোধন করে বলা হয় ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১২ বছর ৬ মাস।