Muktijudho
Natore: Gazette release for 56 Muktijoddha directed
একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিবকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানিতে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) হাইকোর্টেও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির বুলবুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইশরাত জাহান ও অমিত দাস গুপ্ত। এর আগে ২০০৬ সালের ৩০ মার্চ এবং ২৭ আগস্ট নাটোর জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে যথাযথ যাচাই-বাছাই শেষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটর সভাপতি ও নাটোর জেলা প্রশাসক সদর উপজেলার ১৩১ মুক্তিযোদ্ধার নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশের সুপারিশ করেন।
তবে তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যাক মুক্তিযোদ্ধার নামে গেজেট প্রকাশ করা হলেও অবশিষ্ট ৫৬ জনের নাম বিগত ১৩ বছরেও গেজেট আকারে প্রকাশ করেনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু ওই ৫৬ জনের মধ্যে তিনজন ছিলেন একাত্তরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা পরবুর্তীীতে মৃত্যুবরণ করেন।
পরে ওই ১৩ মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারী, চলচ্চিত্র পরিচালক শেখ নজরুল ইসলাম এবং সাংবাদিক রেজাউল করিমসহ ৫৬ মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর ওই রিটের শুনানি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধ হিসেবে ৫৬ জনকে কেন স্বীকৃতির গ্রেজেট দেয়া হবে না, এবং তাদের ভাতা কেন দেয়া হবে না মর্মে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ৫৬ মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারি গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।