Muktijudho
War crime investigation starts
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই ধোবাউড়াতেই আসামিরা অপরাধ সংঘটিত করে, তখন এটি ছিল হালুয়াঘাট থানার অধীনে। পাঁচ আসামির প্রত্যেকেই বিএনপির রাজনীতি করে; আসামিদের মধ্যে দুজন পলাতক থাকায় তাদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করেনি তদন্ত সংস্থা। গ্রেপ্তার তিন আসামি হলো-ধোবাউড়া পশ্চিম বালীগাঁও গ্রামের মো. কিতাব আলী ফকির (৮৫), মো. জনাব আলী (৬৮) ও মো. আব্দুল কুদ্দুছ (৬২)। রোববার দুপুরে ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম ছাড়াও তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান ও জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে মনোয়ারা বেগম বলেন, মূল তদন্ত প্রতিবেদনটি ৫০ পৃষ্ঠার। এর সাথে অপরাধের বর্ণনা, সাক্ষীদের জবানবন্দি ও মামলা সংশ্লিষ্ট ৮৩ পৃষ্ঠার নথিপত্র রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ৩০ মে ও ৯ সেপ্টেম্বর আসামিরা ধোবাউড়ার বালিগাঁও ও তারাইকান্দি গ্রামে অপরাধ সংঘটিত করে। এই সময়কালে তারা অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও দেশান্তর করার মতো মানবুাবিরোধী অপরাধ করে। আর এসব অপরাধে আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।’
২০১৭ সালের ৬ অগাস্ট তদন্ত শুরুর পর তা শেষ হয় চলতি মাসের ৭ মার্চ। এ সময়কালে সাক্ষী হিসেবে ৪০ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম।
সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক হান্নান খান আসামিদের পারিবারিক-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচিতি তুলে ধরে বলেন, ‘আসামিদের সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা রাজাকার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে রাজাকার ও পাকবাহিনীকে সহযোগিতা করে মানবুাবিরোধী অপরাধ করেন।’