Sports
Bangladesh wins against West Indies
জয়ের জন্য ক্যারেবীয়দের সামনে তাদের টার্গেট ছিল মাত্র ২০৪। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন এই টেস্ট সফরকারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু না ক্রিকেট বোদ্ধাদেও অবাক করে দিয়ে তারা মাত্র ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায়। ফলে বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতল ৬৪ রানের বড় ব্যবধানে।
এবারও তাইজুল ইসলাম। গত জিম্বাবুয়ে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় তাইজুল বল হাতে আবারও ঘূর্ণি বিষ ছড়ালেন। সেই বিষেই নীল হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চট্টগ্রামে বাঁহাতি এই স্পিনারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ক্যারিবীয়রা দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় লক্ষ থেকে যোজন দূরে।
শনিবার চট্টগ্রামের টার্নিং উইকেট যেন ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছিল। তাইজুল সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগালেন। এই জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
উইকেটের টার্নকে কাজে লাগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে প্রথম ধাক্কাটি দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার দুর্দান্ত এক ডেলিভারি এগিয়ে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন কাইরন পাওয়েল, গোল্ডেন ডাকে। এর পর ৩ রান করা হোপকেও ফিরিয়ে দেন সাকিব। এরপরের সময়টা শুধুই যেন তাইজুলের। এক ওভারেই দুই এলবিডব্লিউ করে দেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ওভারের প্রথম বলে তার শিকার ক্রেইগ ব্রেথওয়েট (৮), পঞ্চম বলে শূন্যতে এলবিডব্লিউ রস্টন চেজ।
প্রথম ইনিংসের মতো ভয়ংকর হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন সিমরন হেটমেয়ার। এগিয়ে এসে খেলছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাটিং করা হেটমেয়ারকে সাজঘরের পথ দেখান মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৯ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ২৭ রান করেন তিনি। এরপর তাইজুলের বলে আরেকটি এলবিডব্লিউ। এবার শেন ডোরিচ (৫)। ২ রান করা দেবেন্দ্র বিশুকে পরিষ্কার বোল্ড করেন তিনি, টাইগার দলের বাঁহাতি এই স্পিন জাদুকরের পঞ্চম শিকার কেমার রোচ, ১ রান করে তিনিও এলবিডব্লিউ হন।
বাংলাদেশের পক্ষে ৩৩ রান খরচায় ৬টি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। দুটি করে উইকেট মেহেদী হাসান মিরাজ আর সাকিব আল হাসানের। এর আগে ১২৫ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। তবে প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের বড় লিডের সুবাদে ক্যারিবীয়দের সামনে দুইশোর্ধ্ব লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে পেরেছে সাকিব আল হাসানের দল।