Sports

Mortaza states reason for joining politics

Mortaza states reason for joining politics

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 05 Dec 2018, 03:49 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ডিসেম্বর ৫: আগে কখনো রাজনীতি করেননি। রাজনৈতিক জীবনের দেড়যুগ কাটিয়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনেই।

ক্যারিয়ার সায়াহ্নে এসে নাম লিখিয়েছেন পুরোদস্তুর জাতীয় রাজনীতিতে।

 

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে লড়বেন নিজের জন্মস্থান নড়াইলের সাংসদ হওয়ার দৌড়ে। কিন্তু ঠিক কি কারণে এমন সিদ্ধান্ত মাশরাফির? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ক্রিকেটার মাশরাফির ওজন অনেক বেশি। অন্য যে কোনো ক্রিকেটারের চেয়ে মাশরাফির জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। কিন্তু নির্বাচন করবেন তথা রাজনীতিতে নাম লেখাবার পর ভক্তদের অনেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন।


এমন হবে জানতেন মাশরাফিও। এক দলের হয়ে নির্বাচন করায় অন্য দল মুখ ঘুরিয়ে নেবেন সেটি জেনেই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

এমন ঘটনাকে অস্বাভাবিক মনে করছেন না বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। মঙ্গলবার মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে করা সংবাদ সম্মেলনে তার কাছে প্রশ্ন ছিলো, ‘এতদিন আপনি ছিলেন সারাদেশের। এখন একটি বিশেষ অংশের। দেশের এক অংশের রোষানলে পড়েছেন। এ বিষয়টি কিভাবে দেখছেন? মাশরাফির সোজাসাপটা জবাব, ‘এমনটা আমি স্বাভাবিকভাবেই দেখছি। নির্বাচনে দুাঁড়ালে এমনটা হবে আমি ধরেই এসেছি। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এক পক্ষ থেকে দাঁড়ালে অন্য পক্ষ বিমুখ হবে তা আমি অস্বাভাবিক মনে করছি না।’


ঠিক কি কারণে রাজনীতিতে এলেন তিনি? এমন হওয়ার উপায় নেই যে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে তার কিংবা ক্রিকেটার মাশরাফির আবেদন কমেছে কোনো অংশে। তাহলে কেনো রাজনীতিতে এলেন, কেনইবা লড়ছেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে? এ প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফি বলেছেন দারুণ কথা। দেশের ক্রিকেটে এখন তিনি বড় মুখ হলেও, কয়েক বছর কিংবা কয়েক দশক পর তাকে মানুষ মনে রাখবে- এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই মানুষের জন্য ভালো কাজ করে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান তিনি।


মাশরাফি বলেন, ‘আমার রাজনীতিতে আসার কারণ প্রথমত নড়াইলবাসীর জন্য কিছু করা এবং আমার এলাকার উন্নয়নে নিজেকে জড়িয়ে রাখা। আমি হয়তো আগামী ৭-৮ মাস তথা বিশ্বকাপের পর আর ক্রিকেটে থাকবো না। আমি শচীন টেন্ডুলকার বা গেইন ম্যাকগ্রা নই যে ক্রিকেট বিশ্ব আমাকে মনে রাখবে। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী খেলেছি, আমার সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেছি। এখন আমার ক্যারিয়ার শেষের দিকে। একটা সুযোগ এসেছে নিজের এলাকার জন্য কিছু কাজ করার এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগ চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা আমাকে এ সুযোগটা দিয়েছেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ এবং আমি চেষ্টা করবো যদি জিততে পারি, আমি এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’