Travel

Hill centre to be set up Bangladesh mountains

Hill centre to be set up Bangladesh mountains

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 28 Feb 2019, 06:11 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২৮: তিন পার্বত্য জেলার অধিবাসীদের কাছে সামাজিক সেবা সহজলভ্য করতে আরও এক হাজার পাড়াকেন্দ্র করবে সরকার।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে চার হাজার পাড়াকেন্দ্র রয়েছে। ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান’ প্রকল্পের আওতায় নতুন পাড়াকেন্দ্রগুলো করা হবে বলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে। পাড়াকেন্দ্র কমিউনিটির নির্মিত ও পরিচালিত একটি স্থাপনা। এটি বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়।


প্রাক-শিক্ষা ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র; গর্ভবতী, প্রসূতি মহিলা, সর্বোচ্চ পাঁচ বছর বয়সী শিশু ও কিশোরদের জন্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবাদান কেন্দ্র; পরিবার পর্যায়ে বিভিন্ন স্বল্পব্যয়ী ও টেকসই পদ্ধতি। প্রদর্শন কেন্দ্র; পাড়ার যাবুীয় মৌলিক তথ্য সংরক্ষণ কেন্দ্র; কিশোর-কিশোরীদের উন্নয়ন কেন্দ্র; কমিউনিটি প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। স্থানীয় একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলাকর্মী পাড়াকেন্দ্র পরিচালনা করেন এবং সাত সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা কমিটি এ কাজে তাকে সহায়তা করে।


নতুন পাড়াকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, ‘পাড়াকেন্দ্র সামাজিক সেবা বিবরণের একটি সফল মডেল। পার্বত্য এলাকায় যেখানে যেখানে প্রয়োজন এমন স্থানে আরও এক হাজার পাড়াকেন্দ্র করা হবে। চলতি বছর এসব পাড়াকেন্দ্র স্থাপনের স্থান নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন হবে। একই সঙ্গে আমরা বিদ্যমান পাড়াকেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন করব।’


সামাজিক উন্নয়নে পাড়াকেন্দ্রের প্রভাব তুলে ধরে সচিব বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় পার্বত্য অঞ্চলে ভর্তির হার জাতীয় হারের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি (জাতীয় ৪৩ দশমিক ৫০, পার্বত্যাঞ্চলে ৫৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ)। পার্বত্য অঞ্চলে ১৮০টি কমিউনিটি ক্লিনিক এক-তৃতীয়াংশ জনগণকে সেবা দেয়, বাকি তিন-চতুর্থাংশ মানুষ পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে সেবার অন্তর্ভুক্ত হয়। শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানোর হার ভিত্তিবছর (১৯৯৭) ২২ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ২০১৮ সালে ৭৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।’


সরকার ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তিন বছর মেয়াদের এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১২৩ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দেবে ইউনিসেফ (ইউনাইটেড নেশনস ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন্স ইমার্জেন্সি ফান্ড)। ২০২১ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।


পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি, খাগড়াছডড়ি ও বান্দরবান জেলার ২৬টি উপজেলার ১২১টি ইউনিয়ন এ প্রকল্পের আওতাভুক্ত। প্রকল্পের মাধ্যমে অন্যান্য কাজের সঙ্গে বিদ্যমান চার হাজার পাড়াকেন্দ্র উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নতুন এক হাজার পাড়াকেন্দ্র্র নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে ২৬টি মডেল পাড়াকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।