Bangladesh
11 Rohingyas arrested for attacking German journalists
এ ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও সাংবাদিকের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ক্যামরা, পাসপোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের হামলায় আহতরা হলেন- জার্মান সাংবাদিক ইয়োচো লিওলি, এস্ট্যাটিউ এপল ও গ্রান্ডস স্ট্যাফু, বাংলাদেশি দোভাষী মো. সিহাব উদ্দিন (৪১) ও গাড়িচালক নবীউল আলম (৩০)।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার জার্মান সাংবাদিকরা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশন থেকে সংবাদ সংগ্রহ শেষে ফেরার পথে লম্বাশিয়ায় বাজারে কিছু রোহিঙ্গা শিশুকে কাপড় কিনে দিচ্ছিলেন। এ সময় তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। রোহিঙ্গাদের হাত থেকে সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে জাকির হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্যও আহত হন। রোহিঙ্গারা বিদেশিদের ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর ও তাদের কাছে থাকা ক্যামেরা, কাগজপত্রসহ (পাসপোর্ট) জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। আহতদের উদ্ধার করে সেনা ক্যাম্পের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোহিঙ্গা মাঝি জানান, কাপড় ও নানা খাবার কিনে দিয়ে রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে দৃষ্টিকটুভাবে মিশছিল ওরা। তাদের খ্রিষ্টান বানিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চলছে বলে ক্যাম্পে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তখন ওইসব শিশুর স্বজন ও প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। তবে তারা সাংবাদিক না এনজিও কর্মী তা হামালাকারীরা জানত না। এর আগেও বেশ কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের অনেককে টাকার লোভে ফেলে খ্রিষ্টান ধর্মগ্রহণে উৎসাহ দিয়েছিল। এটি ধর্মভীরু রোহিঙ্গাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করায় বৃহস্পতিবার এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন এ রোহিঙ্গা নেতা।