Bangladesh
21 August attack was an attempt to ruin Sheikh Hasina
রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে একুশে আগস্টের ওই ঘটনায় আনা পৃক মামলায় একই সঙ্গে বিচার চলছে।
আইনজীবী মোশররফ হোসেন কাজল আইনি বলেন, যারা দেশ পুনরায় পাকিস্তান তথা ১৯৪৭-এ ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল তারাই বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবার হত্যা করেছে। হত্যাকারীরা তৎকালীন সরকারের ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গ হাওয়া ভবনে বসে এ মামলার চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করা হয়। যাতে হাওয়া ভবন কার্যালয়ের কর্ণধার তারেক জিয়া (তারেক রহমান) সরাসরি সম্পৃক্ত। তারেক রহমানের আশ্বাসে ও সহযোগিতায় ভয়াবহ ওই হামলা ঘটানো হয়েছে।
তিনি বলেন, হাওয়া ভবনসহ ১০টি স্থানে ২১ আগস্ট হামলার ষড়যন্ত্রমূলক সভা ও পরিকল্পনা করা হয়। যাতে তৎকালীন সরকারের মন্ত্রীসহ তাদের অনুগত প্রশাসনের কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা অনুযায়ি হামলা কারীরা হামলা ঘটিয়ে নির্বিঘেœ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
মোশররফ হোসেন কাজল তার যুক্তির পক্ষে বিভিন্ন মামলার রেফারেন্স তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা ও অপরাধীদের আড়াল করতে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করা হয়েছে। নিরিহ জজ মিয়াকে সম্পৃক্ত করে নাটক তৈরী করে মামলাকে ভিন্নখাতে নেয়ার অপচেস্টা করা হয়েছে। কাজল তার যুক্তিতর্কে মামলায় অধিকতর তদন্ত কিভাবে করা যায় তার আইনি ভিত্তি তুলে ধরেন।
সোমবার মামলার কার্যক্রম শেষে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, মামলায় আজসহ মোট ২৬ কার্যদিবস রাস্ট্রপক্ষ এবং ৮৯ কার্যদিবস আসামীপক্ষ যুক্তিতর্ক পেশ করেছে। আজ ছিল মামলার যুক্তিতর্ক পেশের ১১৫ তম দিন।
তিনি বলেন, এ মামলার অধিকতর তদন্ত বিষয়ে আইনগত ও পদ্ধতিগত ভাবেই করা হয়েছে। এখানে কোনো আইনের ব্যত্যয় ঘটেনি বলে তিনি দাবী করেন। মামলার অন্যতম আসামী মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় দফায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার ক্ষেত্রেও কোনে আইনগত ব্যত্যয় ঘটেনি।