Bangladesh

ডা. সাবরিনার আইনজীবীকে মামলার নথি দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ডা. সাবরিনা (ফাইল ছবি)।

ডা. সাবরিনার আইনজীবীকে মামলার নথি দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 14 Sep 2020, 09:58 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ : জে কে জি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের করা মামলার নথি তার আইনজীবীকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নথি চেয়ে হাইকোর্টে করা আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে সাবরিনার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান তুহিন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

 

মামলাটি নিম্ন আদালতে জে কে জি’র ডা. সাবরিনা, তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। গত ২০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন-আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। সাক্ষ্যগ্রহণর জন্য আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

 

আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন বলেন, ‘এ মামলার মূল অভিযোগ হলো করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট। আমরা ভুয়া রিপোর্টের সেই নথিগুলো চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু নিম্ন আদালত সেটি খারিজ করে দিয়েছেন। পরে নথি দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত চার্জশিটে যুক্ত থাকা নথি দেখার সুযোগ এবং সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন।’

 

মামলার নথিপত্র চেয়ে বিচারিক আদালতের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে গত ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে এ আবেদন করেন সাবরিনার আইনজীবী। একই সঙ্গে, করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গত ২৩ জুন তার বিরুদ্ধে করা প্রতারণার মামলাটির কার্যক্রমও স্থগিতের আবেদন করা হয়।

 

জেকেজি হেলথকেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনা টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়, যা জব্দ করা ল্যাপটপে পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ আনা হয়।