Bangladesh
জঙ্গি অভিযানের বিষয় জিয়ার বক্তব্যকে নিন্দা জানালো ডিএমপি
নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি অভিযানের বিষয় জিয়া, সংবাদ মাধ্যম সুত্র অনুযায়ী, জঙ্গিদের জীবিত না ধরবার কারণটি প্রশ্ন করেছেন।
গুলশান হামলার মূল মাথা তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ তিনজন নিহত হওয়ার পর জিয়া বলেন যে তাদের জীবিত ধরা হলে 'সত্যিকারের তথ্য পাওয়া যেতো'।
উনি বলেন গুলশানের হলি আর্টিজেন বেকারিতে হামলার তদন্ত সেরকম কিছু হয়নি।
"আমরা বলবো, আজকে কেনো সত্যিকারের জঙ্গি ধরে, তাদের জীবিত কেনো ধরা হলো না ? জীবিত ধরা হলে সত্যিকারের তথ্য পাওয়া যেতো তাদের কাছ থেকে," উনি বলেন।
ডিএমপি কমিশনার মো: আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপির মাধ্যমে তার এ বক্তব্যের 'তীব্র প্রতিবাদ' জানিয়েছে পুলিশ।
বিবৃতিতে ডিএমপি জানায়ঃ "জঙ্গিদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ এ মামলায় জড়িত মাস্টারমাইন্ডদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জে সোয়াটের সাথে গুলি বিনিময়ে নিহত হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।"
"গুলশান, কল্যাণপুর ও নারায়নগঞ্জে তিনটি অভিযানই দিনের আলোতে সংঘটিত হয়েছে। এজন্য এসকল অভিযানের কার্যক্রম স্থানীয় জনগণ সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছে। পুলিশকে সাধুবাদ ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন। দেশি/বিদেশী বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশের কার্যক্রমকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা হয়েছে," পুলিশ জানিয়েছেন।
"জনগণের জানমাল রক্ষার্থে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাদের পেশাদারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেখানে আত্মোৎসর্গ করেছেন সেখানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের মত দায়িত্বশীল একজন নাগরিকের কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য শুধু পুলিশকেই নয় বরং সমগ্র জাতিকে হতাশ করেছে," পুলিশ বলেছেন।
নিন্দা করে, পুলিশ বলেনঃ " যেখানে নিহত জঙ্গীদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন তাদের জঙ্গী সম্পৃক্ততার নিন্দা জ্ঞাপন করে লাশ গ্রহণে অসম্মতি জ্ঞাপন করছেন সেখানে এমন শতভাগ সফল অভিযান সম্পর্কে মনগড়া, বানোয়াট তথ্য প্রদান করে অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা জঙ্গিদের কার্যক্রমকে সহায়তা তথা আশ্রয়-প্রশ্রয়ের সামিল।"