Bangladesh
60 percent Bangladesh tubewell have arsenic
জাপানের টুকুশিমা বুরনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেইসিরো হিমনু এ কথা জানান। এক দশক ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. খালেদ হোসেনের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের আর্সেনিক সমস্যা নিয়ে গবেষণা করছেন অধ্যাপক সেইসিরো হিমনু।
সেইসিরো হিমনু বলেন, গত এক দশকে আমরা ১২টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছি। যেখানে আমরা দেখতে পেয়েছি শরীরে আর্সেনিকের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু রোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। তার মধ্যে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অথেরোস্ক্লেরোসিস, ক্যানসার, স্কিনের সমস্যা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ইনভায়রনমেন্টাল হেলথ সায়েন্স ল্যাবে চলে আমাদের গবেষণা।
সেইসিরো হিমনু বলেন, বাংলাদেশে গত প্রায় ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে এই সমস্যাটা আছে। আক্রান্ত এলাকার মানুষের ভোগান্তি কম নয়। ওই এলাকার মানুষ যখন হার্টেও সমস্যা, ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন ডাক্তাররা তখন স্বাভাবিক নিয়মে বলে দিচ্ছেন এটা ধূমপান বা অন্য কোনো কারণে হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো ডাক্তাররা বুঝতে পারছেন না এটি আর্সেনিকের প্রভাবেও হওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, শরীরে যখন কম পরিমাণে আর্সেনিক থাকছে তখন কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। ধীরে ধীরে চামড়ার সমস্যা দেখা যায়। এটি যখন স্থায়ী হয় এবং আর্সেনিকের পরিমাণ বাড়ে তখন ব্লাক ফুটসহ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
বাংলাদেশে আর্সেনিকের ভবিষ্যত নিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, এখন সময় এসেছে বাংলাদেশ থেকে এই সমস্যা প্রতিরোধে উদ্যোগ নেয়ার। এজন্য প্রাথমিকভাবে আর্সেনিক আক্রান্ত এলাকা ও আর্সেনিক আক্রান্ত লোকেদের রেজিস্ট্রেশনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে টিউবওয়েলগুলোতে ফিল্টার স্থাপনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে এটি সহজ নয়, জাপানের মতো দেশ এই উদ্যোগ নিতে এখনো পারেনি। তবে চিলি আর্সেনিক প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পেরেছে।