Bangladesh

রোহিঙ্গা অনুপ্রেবশ বন্ধের জন্য মিয়ানমারকে চাপ দিতে হাসিনা আহ্বান করলেন যুক্তরাষ্ট্রকে

রোহিঙ্গা অনুপ্রেবশ বন্ধের জন্য মিয়ানমারকে চাপ দিতে হাসিনা আহ্বান করলেন যুক্তরাষ্ট্রকে

| | 30 Aug 2017, 07:48 am
ঢাকা, আগস্ট ৩০ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার যুক্তরাষ্ট্রকে অহবান করেছেন যে তারা যে রোহিঙ্গা অনুপ্রেবশ বন্ধে মিয়ানমারকে চাপ দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস আজকে হাসিনা এর সাথে সাক্ষাৎ করেন।


সেই সময় হাসিনা এই কথাগুলি ওনাকে বলেছেন।

এই বৈঠকের বিষয় সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেনঃ "রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে মিয়ানমারকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।"

এই বিষয়টিকে এক্ত 'বড় সমস্যা' বলে আখ্যা করেছেন হাসিনা।

“এই সঙ্কট নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে কিনা- সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে’," এই বৈঠকের বিষয় আরও বলেন উনি।

হাসিনা বাংলাদেশের সরকারের সন্ত্রাসবাদ ও  জঙ্গিবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতির কথাও বৈঠকের সময় তুলে ধরেন।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে থাকা রোহিঙ্গা নাগরিকদের দেশে ফেরত নেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের তরফ থেকে এই কথাগুলি বলেছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

 

উনি বলেন বিষয়টি নিয়ে দল খুব উদ্বিগ্ন।

 

"এই বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। আমাদের জন্য কঠিন একটা বিষয়," উনি বলেন।

 

উনি আরও বলেনঃ "আসলে রোহিঙ্গাদের কনটেইন করার এফোর্ট আমাদের নেই। বরং এই মর্মান্তিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। এই বিষয়ে আমরা মানবিক বিষয়টি দেখেছি।”

 

৫ লাখের বেশি মুসলিম রোহিঙ্গা এই দেশে গত কয়েক দশক ধরে আশ্রয় নিয়ে আছেন।

 

নিজেদের দেশে জাতিগত নিপীড়নের মুখে পড়েই এই দেশে আশ্রয় নিয়েছেন এই মানুষেরা।

 

বাংলাদেশ বহুবার তাদের ফেরত নেওতার জন্য সেই দেশের সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

 

তবে, তাতে ফল কিছু হয়নি।

 

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এই মানুষদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আহ্বান করেছিলেন।

 

এই মন্তব্যটিকে 'ইরেসপন্সবিলিটি' বলে আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা।

 

মন্তব্যের বিষয়  উনি বলেনঃ "সেটা ইরেসপন্সবিলিটি ছাড়া আর কিছু না।”

 

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভার শেষে আওয়ামীলীগ নেতা এই কথাগুলি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।