Bangladesh
8 Bangladeshi students receive gallantry award for saving train
সম্প্রতি জেলা প্রশাসক ও জেলা শিশু একাডেমি তাদের পুরস্কৃত করে।
গত ১ নভেম্বর রানীনগর স্টেশন আউটারে চকের ব্রিজের আগে বড়বড়িয়া-গোনা এলাকায় রেললাইনের নিচের অংশ প্রায় দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় ছিল। বিষয়টি নজরে আসে কয়েক শিক্ষার্থীর।
তাদের তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস ও এর যাত্রীরা। এই ঘটনা দেশের বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এরপর জেলা প্রশাসন তাদের ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ প্রেক্ষিতে গত ১১ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে তাদের এ পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়া গত ১৬ নভেম্বর জেলা শিশু একাডেমি মিলনায়তনেও তাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংবর্ধনা ও পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার পশ্চিম গোবিন্দপুর (বড়বড়িয়া) গ্রামের ৭ম শ্রেণির ছাত্র তাইম ইসলাম (১৩), ৫ম শ্রেণির ইব্রাহীম প্রান্ত (১১) ও হিমেল হোসেন (১১), ৬ষ্ঠ শ্রেণির অন্তর হালদার (১১), ৭ম শ্রেণির বিপ্লব হালদার (১৩), রানীনগর শেরে বাংলা কলেজের বাঁধন হোসেন (২১), রাজশাহী পলিটেকনিকের আরিফ হোসেন (২১), নওগাঁ সরকারি কলেজের রাকিব হোসেন (২০) এবং বড়বড়িয়া গ্রামের কৃষক লোকমান হোসেন।
বাঁধন হোসেন বলেন, ফুটবল খেলা শেষ করে সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ করেই রেল লাইনের ভাঙা অংশটি আমাদের মধ্যে একজনের নজরে আসে। এরপর অপেক্ষা করছিলাম কী করা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে ট্রেন এসে পড়ায় তাৎক্ষণিক গায়ের গেঞ্জি উড়িয়ে ও মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে ট্রেন থামানোর জন্য সংকেত দেই। ভালো কাজ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।