Bangladesh
83 workers back from Vietnam, Qatar arrested by police
উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাভিদ কামাল শৈবাল জানান, গ্রেফতার ৮৩ জনের মধ্যে রয়েছে দু’জন কাতার থেকে বাকিরা সবাই ভিয়েতনাম ফেরত। তারা সেখানে জেলখানায় ছিলেন। সেখান থেকে পরে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তবে তারা কোনো অপরাধ করেছেন তা এখনো আমরা জানতে পারিনি। তাই সন্দেহজনক হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দেশে ফিরেই দায়ী রিক্রুটিং এজেন্সি, দালালদের বিচারের দাবি করে আসছিলেন ভিয়েতনাম গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে ফেরা ১০৬ জন প্রবাসী কর্মী। কিন্তু দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানানো এই প্রবাসী কর্মীদেরই আটক করে পুলিশ। গত ১৮ আগস্ট দেশে ফেরার পর তারা দিয়াবাড়িতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে তাদের নিয়ে যেতে পুলিশভ্যান আনা হয় কোয়ারেন্টিন ক্যাম্পে।
মঙ্গলবার সকালে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মোত্তাকীন জানান, তাদের কোর্টে তোলা হবে। কোন মামলায় ও কতজনকে আটক দেখানো হচ্ছে তা নিশ্চিত করে জানাননি তিনি।
গত কয়েকদিন ধরেই ভিয়েতনাম ফেরতদের নিয়ে লুকোচুরি করেছে পুলিশ। রবিবার রাত থেকে তুরাগ থানা পুলিশ তাদের নাম, ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে। মামলার জব্দ তালিকার মতো করে তাদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রের তালিকাও করেছে পুলিশ। তুরাগ থানার উপ-পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল ইসলাম সেখানে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করলেও পরিষ্কার করে জানানো হয়নি, কেন এসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে তাদের কাউকে কাউকে আটকের কথা স্বীকার করেছে থানা পুলিশ।
ভাগ্য বদলানোর আশা নিয়ে গেলেও তাদের ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। কেউ কেউ শিকার হয়েছেন নির্যাতনের। এখন ভিয়েতনামে যারা আছেন তারাও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভিয়েতনামে মানব ও অর্থপাচারে জড়িত ২১ প্রতিষ্ঠান। প্রতি মাসে ৫০০ ডলারের বেশি আয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ভিয়েতনামে। কর্মসংস্থানের আশায় গিয়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ছয়-সাত মাস পরেই ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন ভুক্তভোগী প্রবাসীরা। কেউ কেউ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। মানবপাচারকারী চক্র অর্থপাচারের কাজেও জোরপূর্বক ব্যবহার করছেন প্রবাসীদের।